পাবনার আটঘরিয়ায় সর্বত্র বইছে নির্বাচনী আমেজ : কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি

পাবনার আটঘরিয়া পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বইছে নির্বাচনী আমেজ। এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য (মেম্বর) প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন জোরেসোরে। দলীয় সমর্থন পেতে চালাচ্ছেন জোর লবিং ও তদবীর।

সরেজমিনে দেখা যায়, আটঘরিয়া পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদেই রয়েছে বিএনপি-আওয়ামীলীগের একাধিক সম্ভাব্য মেয়র ও চেয়ারম্যান প্রার্থী। বর্তমান মেয়র ও চেয়ারম্যান মেম্বরের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে অনেক নতুনদের। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বর্তমানে এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে ভোটারদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এলাকায় নানা অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত দান-অনুদান দিয়ে নতুনরা হচ্ছেন পরিচিত। অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী আবার ভিন্ন কৌশলে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। এই যেমন আটঘরিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌরসভার দলীয় প্রার্থী হতে মো. শহিদুল ইসলাম রতন সস্প্রতি পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে উঠান বৈঠক করে নিজের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন।

প্রতিটি নির্বাচনী এলাকাতেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা দোয়া চেয়ে অথবা শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার টাঙিয়েছেন। প্রচারণার ক্ষেত্রে পুরাতনদের চেয়ে এগিয়ে নতুনরা। পাড়া-মহল্লা আর চায়ের দোকানগুলোতেও এখন আলোচনা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, কার ভোট ব্যাংক কোথায়, কে দলীয় মনোনয়ন পেলে ভাল করবে হিসাব নিকাশ চলছে এসব নিয়ে। এদিকে এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না বিএনপি। তাই ব্যক্তিগত ইমেজ কাজে লাগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে তারা জয়লাভ করতে চায়। অনেক প্রার্থী রাজনৈতিক দলের কালার এড়াতে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়তে চান।

প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদক নিজেরাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী। নিজেদের মতো করে তারা প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি জেলার নেতাদের সঙ্গে লবিং চালাচ্ছেন দলীয় মনোনয়নের জন্য। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মাথাচারা দিয়ে ওঠেছে স্থানীয় পর্যায়ে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদেরও তৎপর হতে দেখা গেছে।

আওয়ামীলীগের জেলার শীর্ষ নেতারা মাঠ পর্যায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এদিকে, যারা মেয়র ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে চাচ্ছেন তারা দলীয় মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এমন কথা শোনা যাচ্ছে। প্রার্থীরা গ্রাম-গঞ্জে যেয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করছেন। সেই সাথে মুরুব্বিদের দোয়াও নিচ্ছেন। পৌরসভায় ও ইউনিয়নে তরুণ নেতৃত্ব আশা করছেন করছেন তরুণ সমাজ। আবার দলীয় সমর্থনের দিকেও নজর দিচ্ছেন তারা। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার অপেক্ষায় নৌকার মাঝি হতে জোর লবিং করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।