‘পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের খুঁজে বের করা হবে’

‘পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের ছাড় দেয়া হবে না’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘যারা পাহাড়ের শান্তি বিনষ্ট করতে চায়, যারা উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যাসহ ছয়জনকে হত্যায় জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা হবে।’

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পূর্তিতে ‘গৌরব ৭১’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান, গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা- ২০১৮ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর বাংলা একাডেমি’র আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলা দর্পণের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

পাহাড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ের শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শান্তিচুক্তি করেছিলেন। শান্তিচুক্তির বিভিন্ন দফা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আরও কিছু দফা পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

‘গত পরশু যাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় শোকার্ত আরও পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যারা এ দুষ্কর্মটি করেছেন তাদের আমরা খুঁজে বের করবই।’

‘বাইরে থেকে এর আগেও পাহাড়ে গিয়ে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা চলেছে, এবারও কি তাই’- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়কে কেন্দ্র বাংলাদেশবিরোধী ও শান্তিবিনষ্টকারী বেশ কটি চক্র চেষ্টা করছে, তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ সচেতন, তারা জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। যে কোনো মূল্যে আমরা পাহাড়ের শান্তি রক্ষা করব। শান্তি বিনষ্ট হতে দেব না।’

‘আমি যে দেশে যাই সেখানেই প্রশ্ন করা হয়, তোমরা এত এগিয়ে যাচ্ছ কীভাবে? আমি উত্তরে বলি, আমার দেশের মানুষ গুণীজনদের সম্মান দিতে জানে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নই ছিল অর্থনৈতিক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়া, স্বাধীন লেখনী ও মত প্রকাশের দেশ গড়া।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশকে আর আটকে রাখা সম্ভব নয়। দেশ এগিয়ে যাবেই। এবার সর্বোচ্চ বাজেট হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্য বাংলাদেশ নজির স্থাপন করে চলেছে। আমাদের প্রত্যেকের জায়গায় থেকে কাজ করে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজ যারা পুরস্কার বা সম্মাননা পেলেন, তারা সবাই স্ব স্ব জায়গায় উজ্জ্বল। তাদের লেখনী ও কর্ম আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’

অনুষ্ঠানে ১০ ক্যাটাগরিতে ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা দেয়া হয়। শিল্পকলায় বিশেষ অবদান রাখায় মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ অবদান রাখায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের সফল চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সমাজসেবায় স্বর্গীয় বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় আব্দুল কাদের মোল্লা, সঙ্গীত সাধনায় বিশেষ অবদান রাখায় অধ্যাপক ড. মহসিনা আক্তার খানম (লীনা তাপসী খান নামে পরিচিত), সাংবাদিকতায় সম্মাননা গ্রহণ করেন ফরিদা ইয়াসমিন, চিকিৎসায় (মরণোত্তর) সম্মাননা পান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আমানুর রহমান খান (রতন)। তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন স্ত্রী তাসরিন আহসিনা খান। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে অহিদুল হক আসলাম সানী এবং উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয় মো. শেখ সাদীকে।