পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মজিবুর রহমান পনুর ছেলে মহারাজ হাওলাদার বাদি হয়ে গত ২০ এপ্রিল মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মিথ্যা মামলাটিতে যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলো- আঃ রহিম হাওলাদার, মোঃ শাহজাহান, মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার, ইলিয়াস আহমেদ বাবু এবং আঃ হামিদ হাওলাদার।মিথ্যা মামলা থেকে সকল আসামিরা যাতে অব্যাহতি পায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অধিকতর তদন্তপূর্বক মামলাটির চুড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বেলা ২ টায় মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ শাহজাহান মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,সাপলেজা ইউনিয়নের বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের মৃত. খোরশেদ আলী হাওলাদারের পুত্র সাইদুর রহমান, সাইদুর রহমানের ভাইপো মিলন,মহারাজ ও ফারুক গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ এপ্রিল উক্ত প্রতিপক্ষরা এজমালি জমি থেকে আমাদের সৃজিত গাছ ও পুকুরে চাষকৃত লক্ষাধিক টাকার মাছ জোরপূর্বক লোকজন নিয়ে ধরে নিয়ে যায়।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের স্বীদ্ধান্ত অমান্য করে বাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে চায়।রাস্তা যাতে আটকাতে না পারে সেজন্য ১৯ এপ্রিল রাতে সাইদুর, মেহেদী গংদের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিপক্ষরা শারমিন ওরফে হোসনেআরা নামে এক নারীর মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় এজাহার দায়ের করে।মিথ্যা এ মামলাটি রেকর্ড করার আগেই রহস্যজনক কারনে অতি উৎসাহী হয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসি শফিকুল ইসলামের নির্দেশে এসআই ইয়াসির তদন্তের নামে ইদ্রিস হাওলাদারকে কাছে পেয়ে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।১ দিন থানায় আটকে রেখে কোর্টে প্রেরন করে।

তিনি আরও বলেন,এ মিথ্যা মামলায় আঃ হামিদ হাওলাদার নামে ৮৫ বছরের এক অসুস্থ বৃদ্ধকে আসামি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা গণমাধ্যম কর্মী মোঃ শাহজাহানকেও।

কৃষক ইদ্রিস হাওলাদার ও তার দুই ছেলে রহিম ও বাবুকে মিথ্যা মামলায় আসামি করে পরিবারটিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। আদৌ কোন ঘটনা ছাড়াই মিথ্যা মামলা রুজু হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।