পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গৃহবধু সিমা রানীর মৃত্যু; আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডে গৃহবধূ সিমা রানী আত্মহত্যা করেনি বলে দাবি করেছেন ভিকটিমের ভাই ও মামলার বাদি সঙ্কর চন্দ্র মন্ডল এবং ভিকটিমের পুত্র দীপ বেপারী।

তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা হলেও বাদির অভিযোগ এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।তবে এখন পর্যন্ত এ মামলার ১ নং আসামি সুমন বেপারী ওরফে ধলাকে (৪৮) খুঁজে পায়নি পুলিশ। অন্যদিকে ২ নং আসামি শিখা রানী ৫ ডিসেম্বর (সোমবার) আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলার ১ নং আসামি সুমন বেপারী ওরফে ধলা মঠবাড়িয়া পৌর শহরের টিএ্যান্ডটি রোডের মহানন্দ বেপারীর পুত্র এবং ভিকটিম সিমা রানীর স্বামী।

জানা গেছে, সুমন বেপারী ধলার সাথে ১৫ বছর পূর্বে সিমা রানীর সাথে ধর্মীয় বিধানমতে বিবাহ হয়।বিবাহের পর দুই সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করার একপর্যায়ে কয়েক বছর আগে সুমন বেপারী পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে।সিমা রানী বুঝতে পেরে সংসারের কথা চিন্তা করে তাকে বারবার নিষেধ করা স্বত্তেও সে কোন কর্ণপাত করেনি। বরং পরকিয়া প্রেমিকা মামলার ২ নং আসামি শিখা রানীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতো। স্ত্রী সিমা রানীকে প্রায়ই মারধর করতো।ঠিকমত ভরনপোষণও দিত না।

ঘটনার দিন ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিমা রানী তার স্বামী ধলাকে পরকিয়া সম্পর্ক না করার অনুরোধ করলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।সুমন বেপারী ধলা উত্তেজিত হয়ে সিমা রানীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এরপর সিমা রানীর গায়ে আগুন জ্বলতে দেখে এবং সিমা রানীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সিমা রানীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন।চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ নভেম্বর সিমা রানী মারা যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস আই তাজেল ইসলাম জানান, আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।এটি আত্মহত্যা না হত্যা এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন,আসামি গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।তবে যেকোন মামলার ধারা তদন্ত সাপেক্ষে সংযোজন বা বিয়োজন হতে পারে।