প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষকদের অনশন প্রত্যাহার

টানা ৬ দিন আমরণ অনশনের দিনে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এই আশ্বাসের কথা জানান। এরপর শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। ফলে শিক্ষকদের টানা ১১ দিনের আন্দোলনের অবসন ঘটলো।

নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা তার একজন পিএসকে পাঠিয়েছিলেন আমাদের এখানে। তিনি এসে বলেছেন, খুব দ্রুতই আমাদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’

জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর প্রায় ৫ হাজারের অধিক নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকম সাড়া না পেয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ২ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেন। কিন্তু শিক্ষকেরা তার আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার না করে চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

তাদের একটাই দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ছাড়া তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না।

আন্দোলনকারী নন-এমপিও শিক্ষকদের সংখ্যা প্রথমদিকে কম হলেও সময়ের ব্যবধানে বাড়তে থাকে। বিগত কয়েকদিনে উপস্থিতি শিক্ষক ছিল প্রায় চার হাজারের অধিক।

এদিকে প্রেসক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নীচে শীতের মধ্যে টানা ১১দিন অতিবাহিত করায় অনেকে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। টানা ছয়দিনের এই অনশনে ১১৪ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর ১৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাও হয়েছিল।

আন্দোলনকারী সুব্রত কুমার সানা বলেন, ‘শীতের মধ্যে রাস্তায় থাকায় প্রচুর কষ্ট হয়েছে। অনেকে না খেয়ে থেকেছে। সর্বশেষে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস্ত করেছে এটাই আমাদের জন্য বড় পাওয়া।’