‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না’: ইসি ব্রি.জে. আহসান হাবিব খান

বাংলাদেশ নির্বাাচন কমিশনের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘কে কোন দলের প্রার্থী এটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে জনগণ যাকে চাবেন, ভোট তিনিই পাবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি হবেন।
আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে।’

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারন নির্বাচন উপলক্ষে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, আইন শৃংখলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় শেষে জেলা প্রশাসক চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি এসময় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলা সবাই দেখে বলে মন্তব্যও করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এজন্য মাঠ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের সততা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণের সুযোগ নেই।’

এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, যশোর জেলা প্রশাসক আবরাউল হাসান মজুমদার, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমান সিদ্দিকী, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, যশোর নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমানসহ সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগন।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, ‘নির্বাচন সব দলের কাছে গ্রহন যোগ্য করতে জীবন বাজি রেখে কাজ করছি। নির্বাচনে কোনো ধরেনের অনিয়ম সহ্য করা হবেনা। যদি কোনো ভোটার ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় মা কেমন ভোট দিলেন,বলবে বাবা আমার ভোটটা আমি দিয়েছি। ত্হালে একশোতে একশো। আর যদি বলে বাবা আমার ভোটটা কে যেন দিয়ে দিছে তাহলে একশোতে জিরো। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে ওই কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হবে। ওই প্রিজাইডিং অফিসারকে চাকরিচ্যুত করা হবে, জেলে পাঠানো হবে। সব দলকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে প্রকাশ্যে গোপনে চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরও কেউ নির্বাচনে না এলে আমাদের কিছু করার থাকেনা।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এমন সুষ্ঠু করা হচ্ছে তারা পরে কপাল চাপড়াচ্ছে। তারা বুঝতে পারেছে নির্বাচনে না এসে তারা ভুল করছে।’

তিনি নির্বাচন কমিশনের অধিনে সকলকে নির্ভয়ে নির্বাচনে আসার আহবান জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাযালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ দুই উপজেলায় প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে টানা আড়াই ঘন্টা এ সভা করেন তিনি।

এ সময় জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্টকর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে তিনি নির্বাচন প্রভাব, সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য করতে নানা নির্দেশনা দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় দেখাযায় পেশী শক্তি দিয়ে গুন্ডাপান্ডা দিয়ে কেন্দ্র দখলহয়ে যায় এমন ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রে ভোট বন্ধ। পরে একটা একটা করে ভোট নেয়া হবে। প্রথম ধাপ ও পরবর্তী ধাপগুলোতে নির্বাচনগুলি শান্তিপূর্ণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রার্থীদের বলেছি, কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলেএমন তথ্য প্রমাণ ভিডিওসহ রিটানিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেন তারা ব্যবস্থা না নিলে আমাকে বলেন আমি দেখবো।’