প্রশ্নফাঁস স্বীকার করলেও পুনরায় পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান। তবে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অস্বীকৃতি জানান।

উপাচার্য বলেন, ‘হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে খেলা করার সুযোগ নেই। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যখনই এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যাবে সে যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসও করে বের হয় এরপরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখানে থাকবে না। আর এটাকেই বলে সুশাসন।’

তিনি বলেন, ‘ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছু সংস্কার আনা হবে। একাডেমিক কাউন্সিল এ বিষয়ে সুপারিশ করবে। আমাদের নিজস্ব প্রিন্ট আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এরপর থেকে আমাদের বাইরে যেতে হবে না।’

উপাচার্য বলেন, যাদের বিরুদ্ধেই সন্দেহ হবে তাদেরকে যাচাই বাচাই করব। সবার পরীক্ষা পুনরায় নেয়া সম্ভব না। আমরা হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে বিপদে ফেলতে চাই না।

এবার দিয়ে টানা তিন বছর ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনকারীদের ব্যর্থতা আছে কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘এরকম ঘটনা যখনি ঘটছে তখনি অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। তবে খুশির বিষয় হলো- প্রশ্নফাঁস জালিয়াতি চক্রকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এটা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সাফল্য।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আগে শুনতাম দুইদিন আগে প্রশ্নফাঁস হয়েছে, এবার সেটা ৯টা ১৭ মিনিটে ফাঁস হওয়ার কথা শোনা গেছে। আশা করছি আগামী থেকে আর এসব অভিযোগও আসবে না।’

এদিকে পরীক্ষার আগে যদি একজন শিক্ষার্থীও প্রশ্ন পেয়ে থাকে তাহলে তাকে প্রশ্নফাঁস বলা যাবে কিনা এবং উন্নত দেশের মত ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নে কোনো উত্তর দেননি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ‘ঘ’ ইউনিটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক সাদেকা হালিম। পরে তার হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক সামাদ।

তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস বা ডিজিটাল জালিয়াতি যাই হোক না কেন প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’