প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ

প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ। প্রতিবছরের মতো এবারও এখানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ ঈদগাহে প্রায় লাখো মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

ঈদগাহ ঘুরে দেখা গেছে, বাঁশের খুঁটিতে ছেয়ে গেছে পুরো ঈদগাহ ময়দান। শামিয়ানার ওপরে বৃষ্টি প্রতিরোধক দিয়ে আচ্ছাদিত করে দেয়া হয়েছে। বাকিটাও আচ্ছাদিত করার কাজ করছে শ্রমিকরা।

ঈদগাহ প্রস্তুতের কাজ পেয়েছে পিয়ার ও সরদার ডেকোরেটর। ঈদের দুদিন আগে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এর আগেই ২৮ আগস্টের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

পিয়ার ও সরদার ডেকোরেটর কর্মকর্তা মো. বেলাল বলেন, পুরো কাজের দায়িত্ব আমাদের। আমরা ৫ দিন আগেই অর্থাৎ ২৮ তারিখের ভেতর কাজ কমপ্লিট করে দেব।

তিনি বলেন, গত ১০ তারিখ থেকে এখানে কাজ শুরু হয়েছে। এখন প্রায় দেড়শ লোক কাজ করছে এখানে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা কাজ করে।

সেকিম নামের এক শ্রমিক বলেন, আমি এখানে ছাউনি লাগানোর জন্য বাঁশ বাঁধার কাজ করছি। আর দুই-তিনদিন লাগবে কাজ শেষ হতে। ২৮ তারিখের মধ্যে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সকাল সাড়ে আটটায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এই ঈদ জামাতে অংশ নেবেন। নারীদের জন্যও আলাদা নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকছে।

ঈদগাহ মাঠে অজুর জায়গা করা হবে। এ ছাড়া থাকবে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগারের ব্যবস্থাও। নিরাপত্তার জন্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে।

এদিকে ঈদগাহ মাঠে লাগানো হবে এক হাজারেও অধিক ফ্যান। এছাড়া লাগানো হবে ১৪০০টি এনার্জি লাইট। থাকবে জেনারেটরের ব্যবস্থা। এজন্য কাজ করছেন শ্রমিকরা।

আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা জয়েন ইলেকট্রিক এন্ড ডেকোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে মোট ১৪০০ এনার্জি লাইট লাগানো হবে। জেনারেটর থাকবে, সিলিং এবং স্ট্যান্ড ফ্যান থাকবে মোট এক হাজারেরও বেশি। এরমধ্যে সিলিং ফ্যান থাকবে ৬০০টি এবং ৪০০ এর ওপর থাকবে স্ট্যান্ড ফ্যান। ২৮ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।’

আগামী ২ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে।