প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা পাবে ভাত, ডিম, কলা ও বিস্কুট

২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে। খাদ্য তালিকায় রান্না করা খাবার, ডিম, কলা ও বিস্কুট থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিক্ষার্থী প্রতি সর্বোচ্চ ২৫ টাকা হারে সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সারা দেশে বর্তমানে ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১শ’ ৪ উপজেলার ১৫ হাজার ৩৮৯ টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে দুপুরের খাবার দেয়া হয়। খাবার দেয়ার ফলে সব স্কুলেই বেড়েছে উপস্থিতির হার। এ বাস্তবতায় সব শিক্ষার্থীকে স্কুলমুখী করতে ও ঝড়ে পড়া কমাতে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ‘মিড ডে মিল’ প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, সারা দেশে এ প্রকল্প পরিচালনায় জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ থাকবে।এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে একটি সেল বা ইউনিট গঠন করা হবে।

বৈঠকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির নীতিমালা অনুমোদনের কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কমপক্ষে ৭৫ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হলে প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

সারা দেশে স্কুলমিল চালুর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, নীতি বাস্তবায়নই হবে প্রকৃত চ্যালেঞ্জ। এ প্রকল্প রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।