ফিলিপাইনে বন্যা ও ভুমিধসে নিহত বেড়ে ৭২

ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় নালজির আঘাতে সৃষ্ট প্রবল বন্যা ও ভুমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৪ জন।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে ঝড়টি কাতানদুয়ানেস প্রদেশে আঘাত হানে। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিসীমা ছিল ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার। এর আগে শুক্রবার থেকেই দেশটিতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়।

দেশটির দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র বার্নার্দো রাফায়েলিতো গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঝড়ের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাগুইনদানাও প্রদেশ। সেখানে এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়াও সুলতান কুদরত, সাউথ কোতাবাতো ও ভিসায়াস অঞ্চলে আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নালজির আঘাতে রাজধানী ম্যানিলাসহ কাছাকাছি কয়েকটি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। লুজন দ্বীপ হয়ে ঝড়টি দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাফায়েলিতো আরও জানান, ভারী বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধ্বস ও বন্যা দেখা দিয়েছে। মাগুইনদানাওয়ের একটি গ্রামেই ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মাগুইনদানাওয়ের দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থার প্রধান নসরুল্লাহ ইমাম জানিয়েছেন, উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে উদ্ধারকর্মীদের জড়ো করা শুরু হয়েছে।

এদিকে, বন্যায় প্রাণ হারানোদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিন্যান্ড মারকোস জুনিয়র। দুর্গত অঞ্চলে খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে জরুরী সহায়তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, ঝড়ের কারণে সমুদ্র অস্থির থাকায় দেশটির বেশিরভাগ জায়গায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কোস্টগার্ড। এখন পর্যন্ত একশ’রও বেশি ফ্লাইট স্থগিত করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।