ফুলগাছ নষ্ট করলো ছাগল, মালিককে জরিমান করলো ইউএনও

বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণাধীন পার্কের সৌন্দর্যবর্ধনে লাগানো ফুলগাছ নষ্ট করায় এক ছাগল মালিককে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

জরিমানা কমাতে বারবার ধর্না দিয়েও ইউএনও’র সঙ্গে দেখা করতে পারেননি ছাগল মালিক।

এরপর সেই ছাগল বিক্রি করেই তার জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হয়। জরিমানার টাকা জোগাড় করতে ৫ হাজার টাকায় ছাগলটি বিক্রি করা হয়। বাকি তিন হাজার টাকা গ্রহণের জন্য ছাগল মালিককে যোগাযোগ করতে বলা হয় ইউএনও’র অফিসে!

ছাগল মালিক সাহারা বেগম বলছেন, অর্থদণ্ড পরিশোধের মতো টাকা তার নেই। তিনি জরিমানার পরিমাণ কমানোর জন্য ৫ দিন ধরে ধর্না দিয়েও দেখা করতে পারেননি ইউএনও’র সাথে।

ইউএনও সীমা শারমীন জানান, পার্কে নতুন করে বেশ কিছু ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। ছাগলটি অন্তত ৫/৬ বার পার্কে ঢুকে গাছগুলো নষ্ট করেছে। বিষয়টি নিয়ে সাহারা বেগমকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এনিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেননি। ১৭ মে আবার ছাগলটি ফুলগাছগুলো নষ্ট করলে নিরাপত্তা প্রহরীরা ছাগলটি আটক করে। ২২ মে ছাগলমালিক সাহারা বেগমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। তিনি অর্থদণ্ডের টাকা জমা না দেয়ায় ছাগলটি স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

কিন্তু সাহারা বেগম জানান, ছাগলটি খুঁজে না পেয়ে তিনি ঘটনার দিন উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। এসময় নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে জানান, ফুলের গাছ নষ্ট করায় তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা জমা দিয়ে ছাগল নিতে হবে।
বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে, ছাগল মালিক দাবি করেন, নানা সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, জরিমানার টাকা জোগাড় করতে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে তার ছাগলটি। বাকি তিন হাজার টাকা গ্রহণের জন্য তাকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ইউএনও অফিসে!

তবে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিক্রি নয় রাখা হয়েছে একজনের জিম্মায়। বিধি মোতাবেক জরিমানা আদায় হলে ছাগলটি ফেরত দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। আর ছাগল না নিতে চাইলে ৫ হাজার টাকা মূল্য ধরে বাকি তিন হাজার টাকা ছাগল মালিক গ্রহণ করতে পারবেন।
কিন্তু ছাগলের মালিকের দাবি ছাগলের বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত ১৫ হাজার টাকা।