ফের বাড়তে পারে বিধিনিষেধ

দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কাঙিক্ষত উন্নতি না হওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে।

বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে থেকে বলা হয়, আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আজ মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে লকডাউন। তার আগেই বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

বিধিনিষেধ বাড়লে পূর্বের ন্যায় সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদান করতে পারবে।

উচ্চঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে স্ব-স্ব এলাকার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

এর আগে ৬ জুন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

মার্চের শেষের দিকে দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যায়। মার্চের শুরু থেকে প্রথমে গণপরিবহন ও অফিস চালু রেখে লকডাউন দেওয়া হয়। পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে ৬ দফা লকডাউন বা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত ২৩ মে থেকে ৩০ মে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে বসিয়ে সেবা দেওয়ার অনুমতি পায়।

বর্তমানে সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত অফিস আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারের নির্বাহী আদেশে সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে।