ফের ভারী বর্ষণের শঙ্কা

আবার ভারী বর্ষণের আশঙ্কার কথা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের পূর্বাভাস মতে, রবিবারের পর দু-তিন দিন ধরে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

শেষ হতে চলা সপ্তাহের মাঝের দু-তিন দিনের বর্ষণে দেশজুড়ে ভোগান্তি পোহায় মানুষ। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রাম একরকম পানিতে তলিয়ে যায়। আজও কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে। গত দুই দিন ছিল চনমনে রোদ। এতে অনেক এলাকার কাদাপানি শুকিয়েছে।

আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এই মুহূর্তে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। তবে ৩০ জুলাইয়ের পর ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আর কাল বা পরশু মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।’

কী মাত্রার ভারী বর্ষণ হতে পারে? এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু কী পরিমাণ বৃষ্টি হতে সেটি হিসাব করা এখনই সম্ভব না।’

এদিকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকার সৃষ্ট লঘুচাপটি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।

সংস্থাটি বলছে, এই সময়ে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলেছে, বর্তমান অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল ছাড়া দেশের কোথাও তেমন বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি। বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়- ৮০ মিলিলিটার, বরিশালে ৭০ মিলিলিটার আর ভোলায় ৫০ মিলিলিটার।

গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার প্রায় ৩৫ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে চরম ভোগান্তির মুখে পড়ে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ।