বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী হচ্ছে : আইএমএফ

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক পরামর্শ প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সামাজিক সূচক উন্নত হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তবে রাজস্ব ঘাটতি এখনও মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে।

বার্ষিক পর্যালোচনা শেষে আইএমএফ-এর ধারণা, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির মাত্রা হতে পারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আগের বছর এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ।

আইএমএফ বলছে, দুনিয়াজুড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। অভ্যন্তরীণ ও বাইরের চাহিদা মিলিয়ে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। আগের অর্থবছরে যা ছিল সাড়ে ৬ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক রিজার্ভ আবারও বাড়ছে। জনগণের ডেট টু জিডিপি অনুপাত এখনও মাঝারি মাত্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। ট্যাক্স রাজস্বের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রেভিনিউ টু জিডিপি অনুপাতও মাঝারি আকারে বেড়েছে। ত্বরিত অর্থ সরবরাহের সুবাদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী হয়েছে। এর কৃতিত্ব দেশের বেসরকারি খাতের।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকরা অব্যাহত বৃহদায়তন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী হচ্ছে। তবে এটা ধরে রাখা আরও চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়।

দূরদর্শী বৃহদাকার অর্থনৈতিক নীতির প্রয়োজন রয়েছে। তবে এ ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন পদ্ধতির উন্নতিরও দরকার আছে। মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার বিষয়ে যে পরিকল্পনা রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত সেটা বাস্তবায়নে সহায়তা করা। বাংলাদেশ ব্যাংকের দূরদর্শী মুদ্রানীতিও প্রশংসার যোগ্য।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকরা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজেট প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও উন্নত করার মাধ্যমে বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সরকারের সামাজিক লক্ষ্য অর্জনে আর্থিক খাতে বিভ্রান্তি তৈরি না করে বিকল্পের প্রতি মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।