বাগেরহাটের শরণখোলার সফল খামারি মারুফা আকতার

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার এক উদ্যমী উদ্যোক্তা মারুফা আকতার। পেশায় গৃহীনি হলেও দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গরুর খামার করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা।

তার কাজে উৎসাহী হয়ে আত্মকর্মী হয়ে উঠছে আশেপাশের অনেকে। তিনি এখন সফল খামারি হিসেবে বেশ পরিচিত।

মারুফা আকতার শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের তালুকদার বাড়ির সোহেল তালুকদারের স্ত্রী। ২০১৭ সালে গরু মোটাতাজা করণের ওপর খামার করার স্বপ্ন দেখেন। পরে কয়েকটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে খামারের পরিধি বাড়তে থাকে। খামার করে লাভবান হওয়ায় আরো বেশি উদ্যমী হয়ে উঠলে প্রসার ঘটে খামারের। এখন তার খামারে ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল, দেশি ক্রস ও ব্রাহামা জাতের ৬০ টি গরু রয়েছে।

তিনি খুলনায় বসবাস করেন, মাঝে মাঝে এসে গোলবুনিয়া এগ্রোফার্ম দেখভাল করেন। তার অনুউপস্থিতিতে তার কর্মচারিরা খামারটি দেখভাল করেন।

গোলবুনিয়া এগ্রোফার্ম নামে গরু মোটাতাজাকরন খামার করে পেয়েছেন সফলতা। শখের বসে গরু মোটাতাজাকরন খামার করলেও এখন তিনি ওই এলাকার সফল একজন খামারি। ঈদের সময় গরু বিক্রি করে ১৫/১৭ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

খামারের মালিক মারুফা আক্তার বলেন, প্রতি বছর ২০ /২৫ টা করে গরু কিনে খামার বড় করার চেষ্টা করি। কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে ১৫/১৭লাখ টাকা ইনকাম করি। আশাকরি এবার বাজার ভাল হলে খামারের সকল গরু ৮০ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারব।

খামারের ম্যানেজার মো. মাসুম হাওলাদার বলেন, এখানে সাধারণত ক্যামিকেল ছাড়া প্রাকৃতিক ঘাষ, খড়, কুটা দিয়েই গরু গুলো লালন, পালন হচ্ছে। গরু গুলোকে মোটাতাজাকরণে কোন ইনজেকশন করা হয় না। এই খামারে ৬০ টি গরু আছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮০লাখ টাকা হবে বলে আমরা আশা করি।