বাড়ির ছাদে ‘সুবজ বাংলাদেশ’

চাটমোহরের বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় গ্রামের অজিত কুমার সরকারের ছেলে ইন্দ্রজিত সরকার (৪২) পেশায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। সৌখিন এ মানুষটি তার বাড়ির ছাদে তৈরী করেছেন বাংলাদেশের মানচিত্র। বিশেষভাবে তৈরী এ মানচিত্রের ভিতর তিনি শুরু করেছেন সবুজ শাক চাষ। ফলে মানচিত্র জুড়ে সবুজের সমারোহ।

দৃষ্টি নন্দন, মনোহরা এ সবুজ মানচিত্র এক নজর দেখতে তার ছাদে ভীড় জমাচ্ছেন এলাকার মানুষ।

ব্যাংক কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত সরকার জানান, গত দুই বছর পূর্বে বাড়ির ছাদে ছাদবাগান করেন তিনি। ১৬০০ বর্গফুটের এ ছাদ বাগানে লাল, সবুজ, কালো বর্ণের চারটি আঙ্গুর গাছ রয়েছে। রয়েছে অষ্ট্রেলিয়ান সাদা জাম গাছ। জাপানের মিয়াজাকি জাতের চারটি আমগাছ ও রয়েছে। দুইটি তাইওয়ান রেড আমগাছ, ২২ টি ড্রাগন ফলের গাছ, পাকিস্তানী পাঁচটি কমলালেবু গাছ, ভারতের হরিয়ানের তিনটি আপেল গাছ লাগিয়েছেন তিনি।
এছাড়া এ্যালোভেরা, লজ্জাবতী, আমলকীসহ কিছু ঔষধী গাছ ও রয়েছে তার ছাদ বাগানে।

তিনি আরো জানান, “ছাদে চার পাশে বিভিন্ন ধরণের গাছ লাগিয়েছি। মাঝে সবজি আবাদের চিন্তা করছিলাম। সবজি আবাদের জন্য যখন ছাদে বড় আকারের টব স্থাপনের কথা ভাবছিলাম এমন সময় মনে হলো ছাদে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র তৈরি করে তার ভেতরে শাক সবজি আবাদ করলে ভালো হয়। বিষয়টি চারুশিল্পী মানিক দাসকে বললে তিনি ছাদে বাংলাদেশের ম্যাপ এঁকে দেন।

২০২০ সালের মার্চ মাসে নিজের হাতে রাজ মিস্ত্রীদের সহায়তায় ২৫ ফিট লম্বা ম্যাপটি তৈরী করি। পঁচিশ ফিট লম্বা বাংলাদেশের এ ম্যাপটির মধ্যে ৮ ইঞ্চি পুরত্বে দশ বস্তা মাটি সংরক্ষণ করা যায়। এর মধ্যে নিচের দিকে ১ ইঞ্চি রাবিশ দিয়েছি। বাকি সাত ইঞ্চি মাটি ও জৈব সারের সংমিশ্রণ। চার পাশে টব। মাঝে সবুজ বাংলাদেশ।”

ছাদে ফেন্সী জাতের ৫০টি কবুতর ও পালন করছেন তিনি। প্রতি জোড়া বাচ্চার দাম ৪ হাজার টাকা। মনলোভা এ ছাদ বাগান ও সবুজ বাংলাদেশ দেখার জন্য অনেক মানুষ আসেন তার তৃতীয় তলার ছাদে।

দেশের প্রতি ভালবাসা ও সবুজ প্রীতি থেকে তিনি এটি তৈরী করেছেন বলে জানান।