বিজেপির ওয়েবসাইট হ্যাক করে গরুর মাংসের রেসিপি পোস্ট

দ্বিতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন শপথ গ্রহণে ব্যস্থ মোদি ঠিক তখনই বিজেপির ওয়েবসাইটে ঘটছে এক অনভিপ্রেত ঘটনা। এসময় কোনো এক হ্যাকার গ্রুপের খপ্পরে পড়ে বিজেপির ওয়েবসাইট। সাইটটি হ্যাক করে সেখানে গরুর মাংসের ছয়টি পৃথক রেসিপি ছবিসহ পোস্ট করে হ্যাকাররা।

সর্বপ্রথম এই বিষয়টি বিশ্ববাসীর নজরে আনেন ফরাসি সাইবার নিরাপত্তা গবেষক এলিয়ট এল্ডারসন। তিনি এটি নিয়ে কিছুটা শ্লেষও করেন। টুইটে তিনি লিখেন, আগে জানতাম না বিজেপি মানে বিফ জনতা পার্টি। উল্লেখ্য, বিজেপির পেজের উপরে হ্যাক হবার পর লেখা উঠেছিল- বিফ লিডারস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যাক হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ডাউন হয়ে যায় ওয়েবসাইটটি। এরপর দিল্লি বিজেপির ওয়েবসাইটকে বিজেপি ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটে রি-ডিরেক্ট করে দেওয়া হয়। নির্বাচনের আগেও বিজেপির ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল এবং অনেকদিন ওয়েবসাইট ডাউন ছিল। তখন অবশ্য কোনও প্রাণীর মাংসের ছবি পোস্ট করা হয়নি।

মোদি সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই গরু নিয়ে বিভিন্ন গুজব তুলে মুসলিমদের ওপর হিন্দুত্ববাদী নিপীড়ন-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে ভারতের উত্তর প্রদেশের দাদরি এলাকায় গরুর মাংস সংরক্ষণের গুজবে মোহাম্মদ আখলাককে পিটিয়ে হত্যা করে গ্রামবাসী। এর ধারাবাহিকতায় এখনও সেখানে গরুকে হিন্দুত্ববাদী অস্ত্র বানিয়ে মুসলিম নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শুধু মুসলমানরা নয়, খ্রিস্টান অধ্যুষিত মেঘালয়েও গরুর মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অধিকার কর্মীরা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, গোরক্ষকদের নিন্দায় মোদি সরকার অনিচ্ছুক। আর পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না।