‘বিজেপি এলে পশ্চিমবঙ্গ জ্বলবে’ : রাহুল গান্ধীর হুঁশিয়ারি

প্রথম চার পর্বের নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে দেখা যায়নি। পঞ্চম পর্বের প্রচার শেষ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে এলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। উত্তরবঙ্গে একাধিক জনসভা করে রাহুল বলেছেন, ”আমি এখানে ভাষণ দিতে আসিনি। আমি এটা বলতে এসেছি, যদি বাংলা বিজেপি-র কাছে চলে যায়, তাহলে বাংলার মানুষের সব চেয়ে বড় ক্ষতি হবে। কারণ, বিজেপি এলে বাংলায় আগুন জ্বলবে।”

রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করতে চাইছে।

বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলের বিরুদ্ধে লড়ছে কংগ্রেস। তবে তারা বামেদের সঙ্গে জোটে লড়ছে।

উত্তরবঙ্গে জনসভা করে বিজেপি-র তীব্র সমালোচনা করলেন রাহুল গান্ধী।
গোয়ালপোখরে প্রথম জনসভায় রাহুল অনেক বেশি সমালোচনা করেছেন বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর।
তিনি তৃণমূলেরও সমালোচনা করেছেন, তবে তা তুলনায় অনেক কম।

পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে বিজেপি সম্পর্কে সাবধান করে দিলেন রাহুল গান্ধী। বললেন, বিজেপি এলে আগুন জ্বলবে।

রাহুল বলেছেন, ”বাঙালির মধ্যে যে সৌভ্রাতৃত্ব আছে, তা নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি। এটাই ওরা আসামে করেছে। এটাই তামিলনাড়ুতে করার চেষ্টা করেছে। ওদের কিছু হবে না। আগুন লাগলে এখানে লাগবে। বাংলা জ্বলবে। মা-বোন কাঁদবেন। এটাই হবে। একবার বাংলাকে বিভাজিত করতে পারলে আগুন লাগবেই। এমন আগুন লাগবে যা আগে কেউ কখনো দেখেননি।”

রাহুল বলেছেন, ”উত্তর প্রদেশকে দেখুন। ভোটে জেতার জন্য সেখানে আগুন লাগিয়েছিল। ভোটে জিতেছে। আজ ওখানে দেখুন কী অবস্থা।”

কংগ্রেসের সাবেক সভাপতির মতে, বিজেপি সহিংসতা ও ঘৃণা ছাড়া আর কিছু জানে না।

রাহুল কেন এতদিন পশ্চিমবঙ্গে এসে প্রচার করেননি? সেই প্রশ্ন কংগ্রেসের বিরোধী নেতারা আগেই তুলেছিলেন। কংগ্রেস নেতাদের জবাব ছিল, শেষ তিন পর্বে কংগ্রেসের শক্ত জমিতে ভোট হবে। তাই রাহুল এখন এসেছেন।

তবে রাহুলের মঞ্চে বাম প্রার্থীরা ছিলেন। আর দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে লাল পতাকা হাতে প্রচুর বাম কর্মী-সমর্থকও ছিলেন। এটা নিঃসন্দেহে একটা বড় পরিবর্তন।

উত্তরবঙ্গে মমতাও

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুধবার উত্তরবঙ্গে যান। তিনি মাথাভাঙায় জনসভা করেন। শীতলকুচির আহতদের দেখতে যান। আনন্দ বর্মনের বাবা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি। কিন্তু তার মামা ও দাদু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।

মমতা জানিয়েছেন, আনন্দ বর্মনের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেয়া হবে। আর শীতলকুচিতে সিআরপিএফের গুলিতে মৃত চারজন ও রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত একজনের পরিবারকে রাজ্য সরকার সাহায্য দেবে। তবে আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকায় কী সাহায্য দেয়া হবে তা তিনি জানাননি।