বিপুল ভোটে বিজয়ের পর যা বললেন আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। এটি হবে আইভীর হ্যাটট্রিক বিজয়।

জয়ের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আইভী।একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলে জানান।বলেন, তিনি যতদিন জীবিত থাকবেন মানুষের সেবা করে যাবেন।

আইভী বলেন, এই বিজয় নৌকার বিজয়, এই বিজয় শেখ হাসিনার বিজয়।

এছাড়া তাকে জয়ী করায় নারায়ণগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ জানান সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, নানান প্রতিকূলতার মধ্যে ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জবাসী ভোট দিয়েছেন। আমি আগেই বলেছিলাম, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত, সেটিই হয়েছে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।এই সিটিতে ভোট হয়েছে ইভিএমে।

এই সিটিতে ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৩৩৩টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে।২৭টি ওয়ার্ডের সিটিতে প্রায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন।নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশ।

নির্বাচনে ১৯২ কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের (১৯২) বেসরকারি ফলাফলে আইভী পেয়েছেন ১,৬১,২৭৩ ভোট।অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২,১৭১ ভোট।আইভী জিতলেন ৬৯ হাজার ১০২ ভোটের ব্যবধানে।তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা বেসরকারিভাবে যে ফল ঘোষণা করছেন সেখান থেকে এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

এর আগে ২০১১ সালে নির্দলীয় ভোটে আওয়ামী লীগের নেতাদের সমর্থনপুষ্ট এ কে এম শামীম ওসমানকে এক লাখের বেশি ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র হয়েছিলেন তিনি।

পরের বার ২০১৬ সালে দলীয় প্রতীকে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে আইভী বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পৌনে এক লাখ ভোটে হারান। নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে আইভী আট বছর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।

মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী হলেন-আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্বতন্ত্র তৈমূর আলম খন্দকার, খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস।

নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতি কেন্দ্রে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬ সদস্য।