ভবিষ্যতের পৃথিবী ভরে যাবে মূর্খের বাচ্চা মূর্খে : তসলিমা
নির্বাসিত বাংলাদেশি সালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এবার পৃথিবীর মানুষদের নিয়ে নিজের মতামত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। রোববার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন।
লেখাটি হুবুহু পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো :
“গান, নাচ, সিনেমা-থিয়েটার, আর্ট, কালচার, গল্প, উপন্যাস, শিল্প-সাহিত্যের প্রতি আমার আকর্ষণ ছোটবেলা থেকেই। খেলাকেই বা বাদ দেই কেন। এমন কোনো বিকাল ছিল না, দৌঁড়ে মাঠে যাইনি খেলতে।
এখন লেখালেখি করি বলে শুধু লেখালেখি নিয়েই থাকি, তা তো নয়। কোথাও ক্লাসিক্যাল গান বা নাচ হচ্ছে, যাব। ভালো নাটক হচ্ছে, দেখব, ভালো আর্ট একজিবিশান হচ্ছে দেখব। মিউজিয়ামগুলো দেখা সারা। কোনো ভালো বই বেরিয়েছে, পড়ব। ভালো সিনেমা এসেছে যেতেই হবে।
এই করেই জীবন কাটছে। সিনেমার জগতটা খুব বিশাল এখন। পৃথিবীর যত ভালো সিনেমা আছে, প্রায় সবই নাগালের মধ্যে। ভালো ড্রামা থ্রিলার তো দেখিই। ভালো সায়েন্স ফিকশানও দেখি খুব। পোস্ট এপোক্যালিপ্টিক সায়েন্স ফিকশান তো আমার বেশ পছন্দের। কিছু মানুষ যারা বেঁচে থাকে, তারা মানুষের ভয়ে কী রকম যে তটস্থ থাকে, দেখে কষ্ট হয় আবার কৌতূহলও হয়। তাছাড়াও অনেক সায়েন্স ফিকশানই বলে বুদ্ধিমান এবং সৎ রোবটেরা একসময় পৃথিবী দখল করে নেবে।
মানুষের মতো বর্বর প্রজাতির নির্মূল হয়ে যাওয়াকেই তারা সমর্থন করবে। এই থিমটা আমাকে খুব হন্ট করে। ছোটবেলায় পড়েছি মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। যত বড় হয়েছি, তত বুঝতে পেরেছি এর মতো বড় মিথ্যে আর নেই। মানুষ আসলেই খুবই স্বার্থপর, খুব বর্বর, খুব নিষ্ঠুর, খুব হিংসুক, খুব পাষণ্ড প্রজাতি। ভালো লোক কিছু আছে বটে, কিন্তু সংখ্যায় খুব কম।
এত খারাপ প্রজাতি পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে! মূর্খরাই আজকাল বাচ্চা পয়দা করছে বেশি, তাদের পপুলেশানই উর্ধগতিতে। সুতরাং ভবিষ্যতের পৃথিবী ভরে যাবে মূর্খের বাচ্চা মূর্খে, আর বর্বরের বংশধরে।
ইডিওক্রেসি ছবিতে ভবিষ্যত- পৃথিবীর যে চিত্র দেখানো হয়েছিল, চারদিকে শুধু ইডিয়টস আর ইডিয়টস, আমার মনে হয় পৃথিবীটা অনেকটা সেরকমই হবে। মানুষ নিয়ে আমার উচ্চাশা ধীরে ধীরে কমছে।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন