ভাস্কর্য নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা বন্ধ না হলে দাঁতভাঙা জবাব : আ ক ম মোজাম্মেল হক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পৃথিবীর সকল মুসলিমপ্রধান দেশে ভাস্কর্য আছে। বাংলাদেশেও অনেক আগে থেকেই বহু ভাস্কর্য আছে। সেসব ভাস্কর্য নিয়ে কখনও কেউ কিছু বলেনি, কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতার ভাস্কর্যের বিরোধিতার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা বন্ধ করে ক্ষমা না চাইলে জনগণ দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।

বুধবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত প্রয়াত নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী যাকের ও জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার বাদল রায়ের স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ‘৫৪ ও ‘৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলা ভাষা, বাঙালি জাতিসত্তা ও বাঙালির ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল, তাদের উত্তরসূরিরাই আজ ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা স্বাধীনতাবিরোধীদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, সংবিধান এবং স্বাধীনতার চেতনায় আঘাত আসলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বসে থাকবে না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিয়েছে, কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয় নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী যাকের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ইংরেজি সংবাদ পাঠ করতেন এবং বাদল রায় খেলাধূলার পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তাঁরা দুজনেই নিজ অঙ্গনে কিংবদন্তি। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংগীত শিল্পী এস ডি রুবেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তথ্যবিবরণী-পিআইডি