ভোটের মাঠের খবর এবং একজন ভোটারের কৈফিয়ত

ইয়াসিন মাহমুদ : “জনগণ ভোট না দিলে বলতে পারি না ক্ষমতায় আসব- শেখ হাসিনা।” ( সূত্র: দৈনিক মানবকণ্ঠ,৮ সেপ্টেম্বও ২০১৮। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ৬ষ্ঠ জাতীয় কনভেশনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বলেছেন, তৃতীয় মেয়াদ জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় আসবো; কিন্তু ভোট না দিলে বলতে পারি না যে আবার ক্ষমতায় আসবো। আগামীতে ক্ষমতায় আসি বা না আসি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি যেন থেমে না যায়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আর কারো কাছে হাত পেতে চলবে না।’’ আগামী দিনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে কি আসবে না তার অনেকখানি ইঙ্গিত এখানে পাওয়া যায়। মানুষের কাজের ওপর অনেকটাই তাঁর ভবিষতের স্বপ্ন নির্মিত হয়; নির্মিত হয় নতুন ইতিহাস। তৈরি হয় আত্মবিশ^াস আত্মউপলব্ধি; জীবন জয়ের আশা জাগানিয়া তৈরি হয়। বিগত ১০ বছরের শাসন আমলের নানা ঘটনা অঘটনের আত্মসমালোচনায় এমন অনুতাপ অনুভ’তি ওঠে এসেছে এমনটিও হতে পারে। একটি প্রবাদ আছে- চোরের মন পুলিশ পুলিশ। কোন শঙ্কা থেকেও হয়তো এমন মন্তব্য ওঠে এসেছে বিবেকের আদালতে। প্রধানমন্ত্রীর এই অভিভাষণই সত্যি হয় কিনা তার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে।

ইতোমধ্যেএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে নির্বাচনের দিন। প্রতিক্ষা করছে ভোটাররা। নতুন ভোটারদের ভেতর আলাদা ইমেজ ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে নির্বাচনের পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ। এখনো কেউ ভুলতে পারেন না ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন ভোটের দৃশ্য। মনের অজান্তেই চোখের সামনে পুরাতন সেই আ্যালবাম ভেসে আসে। আবারো কি একটি ভোটডাকাতির আয়োজন হতে যাচ্ছে না তো?সব মিলে পরিস্থিতি তাই-ই তো বলে। এখনো বন্ধ হয়নি গণগ্রেফতার ও হয়রানি। গায়েবি মামলায় ফেঁসে যাচ্ছে অনেক নিরীহ দেশপ্রেমিক জনতা। নামতে দেওয়া হচ্ছে না ভোটের মাঠে।বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল মনে তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না। কোণঠাসা অবস্থায় রাখা হয়েছে তাদেরকে। এমন একটি সময়ে সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা অলৌকিক কল্পনা ছাড়া বৈকি!সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার ও হয়রানির কিছু খবর জানাই তাহলে।

১.ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমির গ্র্রেফতার

নাশকতার মামলায ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) বিকেলে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয। (সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টি ফোর.কম, ০১ নভেম্বর ২০১৮)

২.কেশবপুরে বিএনপি ও জামায়াতের ৬ কর্মী গ্রেফতার

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের ৬ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেশবপুর থানারে ওসি মোঃ শাহিন জানান, (১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বরনডালী গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। (সূত্র : দৈনিকনয়া দিগন্ত, ০২ নভেম্বর ২০১৮)

৩.চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আটক

০১ নভেম্বর ২০১৮, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কথিত বোমা বিস্ফোরক মামলার পলাতক আসামী রায়পুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।থানা পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত মোল্লাসেলিমের নেতৃত্বে এসআই সাইদুজ্জামান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাতে রায়পুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। (সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম , ০৩ নভেম্বর ২০১৮)

৪.মুজিবনগর জামায়াতের আমির আটক

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের আমির ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হুসাইনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার রাতে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের একটিদল অভিযান চালিয়ে জারজিসকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। (সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ৩ নভেম্বর ২০১৮)

৫.খুলনায় বিএনপির ৮২ নেতাকর্মী গ্রেফতার

খুলনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণগ্রেফতার অভিযান। ২৬শে অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন থানায় ৮২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লবণচরা ও সোনাডাঙ্গা থানায় নতুন করে দু’টি গায়েবি মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত সদর, খালিশপুর ও আড়ংঘাটা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ( সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ৪ নভেম্বর ২০১৮)

৬. বাগেরহাটে নাশকতা মামলায় জামায়াতের আমীর গ্রেফতার

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. ফজলুর রহমান হাওলাদারকে (৫৫) নাশকতা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকলে উপজেলা সদরের রাজৈর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার তাকে করা হয়।(সূূত্র:এমইউ ৭১নিউজ, ০৪ নভেম্বর ২০১৮)

৭. শিবিরের ৯০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম নগরের ডিসি রোডে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কাযার্লয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯০ জন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।০৪ নভেম্বর ২০১৮, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন।
(সূত্র: দৈনিক যায়যায় দিন,০৫ নভেম্বর ২০১৮)

৮.গাজীপুরে জামায়াতের দুই নেতাকর্মী গ্রেফতার

০৪ নভেম্বর ২০১৮, গাজীপুরে জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রোববার রাত ১১টার দিকে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।(সূত্র:এনটিভিবিড, ০৫ নভেম্বর ২০১৮)

৯ .চুয়াডাঙ্গায় জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ আটক

চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রমিক কল্যাণফেডারেশনের সভাপতি এবং জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য প্রবীণ জননেতা আব্দুর রউফকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ। গতকাল বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। (সূত্র:দৈনিক নয়া দিগন্ত, ০৬ নভেম্বর ২০১৮)

১০.হিলিতে জামায়াত নেতাসহ গ্রেফতার ৩

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে নাশকতার মামলায় জামায়াতের ইউনিয়ন সেক্রেটারি ও এক কর্মীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়। (সূত্র: সারাবাংলা,০৬ নভেম্বর ২০১৮)

১১. চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের ৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার

চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে নগরের বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল ও দুপুরে পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় (সূত্র:দৈনিক সমকাল, ০৬ নভেম্বর ২০১৮)

১২. খানজাহান আলী থানা জামায়াতের আমীরসহ গ্রেফতার ৪

০৬ নভেম্বর ২০১৮, খানজাহান আলী থানা জামায়াতের আমীর সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটুসহ জামায়াত ও বিএনপি’র চার নেতা-কর্মীকে পুলিশ নাশকতার মামলায় আটক করেছে।পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে খানজাহান আলী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।(সূত্র: সময়ের খবর,০৬ নভেম্বর ২০১৮)

১৩. রাজশাহীতে জামায়াতের পৌর আমীর ও ইউপি চেয়ারম্যান আটক

রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই জামায়াত নেতা আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই মামলায় বুধবার জামায়াত নেতা আনিছুল রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া বাজার সংলগ্ন একটি পরিত্যাক্ত তেলপাম্পের পাশ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সরকারকে আটক করা হয়।
( সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম ,০৮ নভেম্বর ২০১৮)

১৪.শিবগঞ্জে গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াতের আট নেত্রী আটক

চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর এলাকার একটি বাড়িতে গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াতের আট নেত্রীকে আটক করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিষপুর এলাকার একটি বাড়িতে নাশকতার উদ্দেশ্যে জামায়াত নেত্রীরা জড়ো হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
( সূত্র : নিউজপেপার্স৭১, ৯ নভেম্বর ২০১৮)

১৫. কুমিল্লায় জামায়াতের চেয়ারম্যানসহ ৬৩ জন গ্রেফতার

কুমিল্লা মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নাশকতার চেষ্টা ও পরিকল্পনার বিভিন্ন অভিযোগে ৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।০৯ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে থানা ও ডিবি পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। ( সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম, ১০নভেম্বর ২০১৮)

১৬. সুন্দরগঞ্জের জামায়াতের আমির গ্রেফতার

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে চার পুলিশ হত্যা, একাধিক নাশকতার মামলাসহ ৯ মামলার আসামি জামায়াত নেতা মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।(সূূত্র:আরসিএন২৪বিডি, ১০ নভেম্বর ২০১৮)

১৭.ঝিকরগাছায় সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল আটক

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জামায়াত নেতা জিয়াউল হককে আটক করেছে পুলিশ। ১০ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার দুপুরে তার বাড়ি হতে তাকে আটক করা হয়েছে। ( সূত্র:দৈনিক সংগ্রাম, ১১ নভেম্বর ২০১৮)

১৮.চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারীসহ জামায়াত-বিএনপি’র ১৩ জন গ্রেফতার

১১ নভেম্বর ২০১৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপি’র ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গত ১২ ঘণ্টায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ( সূত্র: সোনার দেশ, ১১ নভেম্বর ২০১৮)

১৯.সাতক্ষীরায় জামায়াত নেতা মাও. আজগর আলী গ্রেফতার

সাতক্ষীরায় জামায়াত নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক মাও. আজগর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১০ নভেম্বর, ২০১৭, শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার বৈকারী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি বৈকারী গ্রামের রহুল আমিনের ছেলে ও খলিলনগর আমিনিয়া মহিলা মাদ্রাসার আরবী শিক্ষক। তিনি বেকারী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি।( সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব : ১১ নভেম্বর, ২০১৭)

২০.মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর তাজ উদ্দিন খান গ্রেফতার

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১২ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার বিকাল তিন টার দিকে মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাশেমের নেতৃত্বে মুজিবনগর থানা পুলিশ উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজার থেকে জেলা জামায়াতের আমীরকে গ্রেফতার করেন।
( সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম ১৩ নভেম্বর ২০১৮)

২১. মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর তাজ উদ্দিন খান

১২ নভেম্বর ২০১৮, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকাল তিন টার দিকে মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাশেমের নেতৃত্বে মুজিবনগর থানা পুলিশ উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজার থেকে জেলা জামায়াতের আমীরকে গ্রেফতার করেন। (সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম,১৩ নভেম্বর ২০১৮)

২২.সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির গ্রেফতার

সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. শাহিনুর আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৫ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পৌর এলাকার সয়াধানগড়া উত্তর পাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। (সূত্র: খোলাকাগজ, ১৬ নভেম্বর ২০১৮)

২৩. সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের আমীর গ্রেফতার

নাশকতার মামলায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ নুরুন-নবী সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৭ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ( সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম, ১৮ নভেম্বর ২০১৮)

২৪. ফেনী শহর জামায়াতের আমির গ্রেফতার

ফেনী শহর জামায়াতের আমির ও আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া মাদ্রাসারপ্রভাষক মুফতি আবদুল হান্নানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে শহরের শান্তি কোম্পানি রোড়এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। (সূত্র :বাংলাট্রিবিউন, ১৯ নভেম্বর ২০১৮)

প্রতিদিন সরকারী অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়নে আগ্রহী পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিরোধীজোট নেতা- কর্মীসহ সাধারণ জনতা। বিগত ১০টি বছর এদেশের মানুষ আওয়ামী নির্যাতনে দিশেহারা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে অনেকটা উজ্জীবিত হয়ে উঠতে থাকে সকল শ্রেণির পেশার মানুষ। সকলের ধারণা ছিলো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি কালো অধ্যায়ের ইতি ঘটবে। তবে তেমন কোন পরিস্থিতি এখনো দেখা যাচ্ছে না। পুলিশি নির্যাতন,গণগ্রেফতারের মধ্য দিয়ে কিভাবে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে নির্বাচন কমিশন তা বুঝে আসে না। একটি ভোট উৎসবের জন্য সর্বস্তরের জনগণের শতস্ফ’র্ত অংশগ্রহণ দরকার। যেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট রেজাল্টধারী কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় কিন্তু কোন ছাত্র না থাকলে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রাণহীন হবে। তেমনি ভোট উৎসবের জন্য ভোটারদের অংশগ্রহণ অনিবার্য। আপাতত দৃষ্টিতে যে পরিস্থিতি বিরাজমান তাতে ভোট উৎসবের কোন আয়োজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।এখন নির্বাচন কমিশনারের প্রধান দায়িত্ব প্রতিটি দল ও জনগণ আগামী দিনে কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাবে সে ব্যাপারে নির্বিঘেœ প্রচারণা চালানোর সুযোগ দেওয়া। অন্যায়ভাবে আর একজন মানুষকেও গ্রেফতার নয়। মাননীয় নির্বাচন কমিশনারÑ শেখ হাসিনাও বলেছেন, এবারের নির্বাচন খুব কঠিন হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকেও কঠিন হতে হবে। আর জনগণকে খুব বেশি সহজ ভাবাটা এবারের জন্য সুখকর হবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন এদেশের জনগণ আর চেয়ে চেয়ে দেখবে বলে বিশ্বাস করতে পারি না। সার্বিক প্রেক্ষাপট যেটা বলে, জনগণের ভেতরে যে চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ না হলে এই জনগণই নির্বাচন কমিশনারকেও লাল কার্ড দেখিয়ে দিতে পারে। আমরা তেমন কোন পরিবেশ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাই না। আসছে নতুন একটি বছর। নতুন দিন। এবং নতুন একটি সরকারের মধ্যে দিয়েই শুরু হোক নতুন বছর। সঙ্ঘাত নয় শান্তিই হোক আমাদের শ্লোগান। নতুন বছরে আমাদের ঘর ভরে ওঠুক আনন্দে। সবাই মুছে ফেলতে চায় বুকের ভেতরের সব কষ্ট। সবার স্বপ্নপূরণের শুভ কামনা।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।