ভোলায় সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস ভবন ঝূকিপূর্ণ, সেই ভবন থেকেই কোটি টাকার রাজস্ব আয়

ভোলায় যেখানে বছরে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয়, সেখানে বর্তমানে ঝূকিপূর্ণ ভবনে সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের কার্যক্রম চলছে। ভবন কাপে, ভেঙ্গে পরছে ছাদের গ্রেড ভিম ও ছাদ। দলিল-নথিপত্র অরক্ষিত, জায়গার অভাব, মহিলাদের ভোগান্তি চরমে। যে কোন মুহুর্তে ভবন ভেঙ্গে বড় ধরনের র্দুঘটনার আশংকা করছেন কর্মকর্তারা।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে ভোলা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসটি শহর থেকে দুরে, দাতা-গ্রহীতাদের জমির নগদ টাকা লেনদেনের নিরাপত্তাহীন, ব্যাংকে পে-অর্ডার কাটতে ভোগান্তি, চাদার জন্য চাদাবাজদের অফিসে হামলা, স্টাফ, দলিল লিখকদের মারপিট, দলিল ও টাকা ছিনতাই, মহিলা এবং দলিল দাতা ও গ্রহীতাদের যাতায়াতের নিরাপত্তাহীনতার কারনে শহরের বাহিরে চরফ্যাশন সড়কের-রূপসী সিনেমা হলের নিকট (পানের আড়ত) জেলা রেজিষ্টার অফিসের নীচতলা থেকে, সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসকে ভোলা-১, আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদের নির্দেশে নিরাপদ স্থান উপজেলা পরিষদের কম্পাউন্ডে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ব্যবহারিত পুরাতন জরাজির্ন দ্বোতলা ভবনে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে নেই দলিল, নথি, রেকর্ডপত্র রাখার রুম, কপিষ্টদের বালাম লিখার জায়গা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম, দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জায়গার সংকুলান নাই, নাই বার্থ রুম। দ্বোতলায় মানুষ উঠলে ভবনটি থড় থড় করে কেপে উঠে। ছাদের গ্রেড ভিমের রর্ড জংয়ে ধরে, ভিম ও ছাদ ভেঙ্গে পরে দলিল দাতা ও গ্রীতাদের মাথার উপর পরে। ফ্যান চালু করলে ছাদের ঢালাই ঝর ঝর করে, গ্রহক, দাতা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাথাসহ টেবিল-চেয়ারে পরে নাথীপত্র ও রুম ধুলাচ্ছন্ন হয়ে যায়। দলিল লিখক, মহিলা দাতা ও গ্রহীতাদের বসা, বার্থরুম ও নামাজের স্থান নাই। মহিলাদের বাথরুমের প্রয়োজন হলে শহরের অন্যের অফিস অথবা বাসায় যেতে হয়, যাকে তাকে শহরের বার্থরুম ব্যবহার করতে দেয়না অফিস ও বাড়িওয়ালারা। যার ফলে মহিলারা পরতে হয় চরম দূর্ভোগে। উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডের মধ্যে সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের জন্য একটি নিরাপদ ভবন বরাদ্ধ অথবা নির্মানের দাবী উঠেছে।

দলিল লিখক সমিতির সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মোঃ মোকলেছুর রহমান জানান, আমাদের সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস নিরাপত্তার স্থানে নিয়ে এসেছেন আমাদের নেতা ভোলা-১ আসনের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ। সরকারকে আমরা কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় দিতেছি। এখন আমাদের অফিস ভবন প্রয়োজন। তার কাছে আমাদের দাবী তিনি আমাদের অফিস ভবনের ব্যবস্থা করে দিবেন। তার সাথে যে সমস্যা আছে তারও সমাধান হয়ে যাবে।

সদর সাব-রেজিষ্টার এ কে এম ফয়েজ উল্ল্যাহ জানান, আমাদের সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের র্দুগতী এবং একটি ভবনের বিষয়ে জেলা রেজিষ্টার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। সবাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়ীত্ব দিয়েছেন।

জেলা রেজিষ্টার মোঃ সেলিম হাওলাদার জানান, আমাদের সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের জন্য নিরাপত্তার স্থান পেয়েছি। কিন্তু নিরাপদ ভবন পাইনি। ভবনটি খুব নড়বরে অবস্থা, দলিল-নথিপত্র অরক্ষিত, কোন সময় কোন ঘটনা ঘটে তা নিয়ে ভয়ে আছি। এখন আমাদের একটি নিরাপদ ভবনের প্রয়োজন।

সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুছ মিয়া জানান, আমাদের নেতা ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক শিল্প ও বানজ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহন্মেদের নির্দেশে সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসকে একদিনের মধ্যে একটি নিরাপত্তাহীন এলাকা থেকে নিরাপত্তার স্থানে নিয়ে এসেছি। আমরা বিনা পয়সায় উপজেলা পরিষদের একটি ভবনের ৩টি রুম ১টি হলরুম তাদের অফিসের জন্য দিয়েছি। মহিলাদের বসার কোন রুম নাই, ভাল রুম থাকলে তাদেরকে দেয়া যাবে। আসলে ভবনটি পুরাতন, বাথরুমগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী, তাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাদের একটি নিজস্ব নিরাপদ ভবনের দরকার। আমাদের উপজেলা পরিষদের এমন কোন বরাদ্ধ নাই যে আমরা ২/৩ তলা একটি ভবন করে তাদেরকে দিব। তবে বিশেষ একটি বরাদ্ধ কারানো যেত, তাও করোনাকালীন সময়ে বন্ধ রয়েছে।