মন্ত্রীর মুখে যেন চুলকালি না পড়ে, ব্যবসায়িদের বাণিজ্যমন্ত্রী

রমজানে দ্রব্যমূল্য বেড়ে ‘মুখে যেন চুলকালি না পড়ে’ সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সহায়তা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার সচিবালয়ে ‘আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় উৎপাদন, আমদানি, মজুত অবস্থা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রী একথা বলেন। এসময় ব্যবসায়ী নেতারাও উপস্থিতি ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পজেটিভ, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সঙ্গে কাজ করে আমরা এটা নিয়ন্ত্রেণ করে যাবো। চাঁদাবাজি ঠেকাতে থানা, এসপি লেভেল ছাড়াও প্রয়োজনে আমরা একটি কল সেন্টার করে দেবো। যাতে করে যে কেউ চাঁদাবাজি হচ্ছে তা জানালে ব্যবস্থা নেয়া যায়।

মন্ত্রী বলেন, রাস্তায় ট্রাকে চাঁদাবাজি একটি বড় হেডেক। এটা বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে যথেষ্ট শক্ত কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই চাঁদাবাজি মানবো না। প্রতিটি পয়েন্টে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। চাঁদাবাজির জন্য মানুষদের বেশি টাকা দিয়ে পণ্য ক্রয় করতে হবে কেন?

ব্যবসায়ীরা একটি ক্লু দিয়েছেন, সেটা আমরা ফলো করবো জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, সেটা হচ্ছে মিল থেকে যে মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হয় তা থেকে প্রতি কেজি বা এককে পঞ্চাশ পয়সা হোল সেলাররা লাভ করবে। আর সেই পণ্যের ওপর আরতদাররা যদি একটি ছোট অংকের লাভ করে ছেড়ে দেয় এবং খুচরা ব্যবসায়ী যদি প্রতি কেজি বা একক পণ্যের ওপর পরিবহন খরচসহ বিভিন্ন খরচ বিবেচনা করে সর্বোচ্চ ৫ টাকা লাভের পর ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে তাহলে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেই।

মন্ত্রী আরো জানান, এখানে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা যেটা বলেছেন, এ দামের চেইনটা যদি দেখভাল করা যায় তাহলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি হবে না। আর আমরা এটা গুরুত্বসহকারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেখবো। আর স্তরভিত্তিক মূল্য চেইনের বিষয়ে ব্যবসায়ীরাও একমত হয়েছেন।

‘আমি এখানে দেখছি ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। এখানে ব্যবসায়িদের মুখ থেকেও একই কথা আসছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করতে পারলে এটার সমাধান সম্ভব। আর এটা হতে হবে।’ যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা যদি মনে করি রমজান মাস একটি পবিত্র মাস, এ মাসে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নেয়া ঠিক নয়। এটা যদি আমরা মেইনটেইন করি তাহলে আল্লাহ তায়ালাও আমাদের ওপর খুশি হবেন।