ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জামাল হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা, পিতা-পুত্র গ্রেফতার

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হ্যান্ডট্রলি চালক জামাল মিয়া (৩৫) হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার নিহতের ভাই রিপন মিয়া বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে গৌরীপুর পৌর শহরের পূর্বদাপুনিয়া মহল্লার শরীফ মিয়া (৪০), তার স্ত্রী শামছুন্নাহার (৩৫) ও ছেলে সজীব মিয়া (২১)। ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি শরীফ মিয়া ও তার ছেলে সজীব মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। মামলার অপর আসামি শরীফের স্ত্রী শামছুন্নাহার পলাতক রয়েছে।
নিহত জামাল পৌর শহরের কলাবাগান ছয়গন্ডা মহল্লার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

জানা গেছে, জামালের গাড়িতে সজীব কাজ করতো। পরিচয়ের সুবাদে জামাল প্রায়ই সজীবদের বাসায় যাতায়াত করতো। গত শুক্রবার রাতে জামাল পূর্বদাপুনিয়ায় শরীফদের বাসায় গেলে শরীয় ও তার ছেলে সজীব কুপিয়ে আহত করে। পরে শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরীফ মিয়া ও তার ছেলে সজীব মিয়া ও মামুন নামে এক যুবককে আটক করে। পরে ঘটনার সাথে মামুনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

গৌরীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, শরীফের স্ত্রীর সাথে জামালের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিয়ষটি নিয়ে এলাকায় সালিশ-দরবার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জের ধরেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।

নিহতের ভাই রিপন মিয়া বলেন, পাওনা টাকা আদায়ের জন্য শরীফের বাড়িতে গেলে আমার ভাইকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরকীয়ার বিষয় আমার জানা নেই। এটা মিথ্যা বানোয়াট গল্প।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, জামাল হত্যাকান্ডে মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত পিতা-পুত্রকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক মামুনের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকী আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।