মাগুরার বিতর্কিত চিকিৎসক মাসুদুল হকের বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার বিতর্কিত চিকিৎসক মাসুদুল হকের বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা হয়েছে। মাগুরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দুটি করেছেন মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও ঝিনাইদহ জেলার হাটগোপালপুরের তিওড়দাহ গ্রামের মিঠুন কুমার নামে দুই ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী মিতু রানী বিশ্বাসের ভাই মিঠুন কুমার জানান, গত ১৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখ সন্ধ্যায় প্রসুতি অবস্থায় সদর হাসপাতালের সামনে এলে ডাক্তার মাসুদুল হকের নিযুক্ত দালালরা ভুল বুঝিয়ে হাসিনা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার মাসুদুল হক তার বোন মিতুর সিজার করার সময় বলে পেটে টিউমার আছে। এটি অপারেশন করতে হবে জানিয়ে ২২ হাজার টাকা দাবি করে এবং অপারেশন করে একটি কন্যা সন্তান নেয়। কিছু দিন পরে তার বোন পেটে ব্যাথা ও যন্ত্রনা অনুভাব করতে থাকে। আসামী তাদের বলে এতে কোন সমস্যা হবে না। কয়েকদিন পর সুস্থ্য হয়ে যাবে। কিন্তু তার বোনের শারীরীক অবস্থার দিন দিন অবনতি ঘটতে থাকে। এ বিষয়ে ডাক্তার মাসুদুল হকের কাছে গেলে তিনি কোন পত্তা দেননি। পরে তার বোন মিতুকে নিয়ে ভারতে গেলে ডাক্তারা জানান, অপারেশনের স্থানে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় সোমবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের সময় খবর পাওয়া যায় মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মিতু রাণী মৃত্যুবরণ করেছে।

অপর একটি মামলার ভুক্তভোগী মাগুরা শহরতলীর পারনান্দুয়ালী গ্রামের সাইফুল অভিযোগ করেছেন, গত ১৪ জুন ২০১৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় তার পা ভেঙ্গে যায়। ১৬ জুন ২০১৩ সালে সকালে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার পথে হাসপাতালের গেটের সামনে থেকে ডাক্তার মাসুদুল হক ও তার স্ত্রী জাহানারাসহ নিযুক্ত লোকজন তাকে কম খরচে ভালো চিকিৎসার কথা বলে ডাক্তার মাসুদুল হকের মালিকাধীন জাহান ক্লিনিকে নিয়ে যায় এবং পায়ের চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করে। তাদের কথায় বিশ্বাস করে তিনি ১ লাখ টাকা দিয়ে দেয়। পরে অপারেশন করা হলে তার পায়ের ২ ইঞ্চি হাড় কেটে ফেলে। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করেও তার পা আর ভালো করতে পারে না। ক্রমান্বয়ে তা শুকিয়ে অকেজো হয়ে যায়। এতে তিনি চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়।