মাজারে ১৩ জনকে খুন করা বন্দুকধারী তাজিকিস্তানের নাগরিক: ইরান

গত মাসে ইরানের শিরাজ শহরের একটি মাজারে জঙ্গি হামলায় ১৩ জন নিহত হন। হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হন হামলাকারী।

হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পর সোমবার (৭ নভেম্বর) ইরান এখন জানিয়েছে, ওই হামলাকারী প্রতিবেশি তাজিকিস্তানের নাগরিক। গত ২৬শে অক্টোবর শিরাজের ওই মাজারে জঙ্গি হামলা হয়। সেসময় হামলার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।

আরব নিউজের খবরে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনার পর ইরান প্রাথমিকভাবে বলেছিল যে- শিরাজে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফা গণনার পর দেশটি জানায় নিহতের সংখ্যা ১৩। ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ওই বন্দুকধারীর নাম সোবহান কমরউনি। তিনি আবু আয়েশা নামে পরিচিত ছিলেন। তবে গ্রেপ্তারের সময় তাকে যেভাবে আঘাত করা হয় তাতে ঘটনার দিনই মারা যান তিনি। তাকে ইরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি আর। 

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই বন্দুকধারীর সহযোগী ছিলেন মোহাম্মদ রমেজ রশিদি নামের এক একজন আফগান নাগরিক। এছাড়া আজারবাইজান থেকে আরও এক সন্দেহভাজন এই হামলায় সহযোগিতা করেছে। তাকে এখন এই হামলার প্রধান সমন্বয়ক বলছে ইরান সরকার। এ পর্যন্ত ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা সন্দেহে মোট ২৬ বিদেশীকে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের গোয়েন্দা বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সকলেই চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত। গ্রেপ্তার হওয়া সকলেই আজারবাইজান, তাজিকিস্তান এবং আফগানিস্তানের নাগরিক।

ইরান বলছে তারা ২৬ জন ‘তাকফিরি সন্ত্রাসীকে’ গ্রেপ্তার করেছে। মূলত ইসলামিক স্টেটকে বুঝাতেই এই শব্দ ব্যবহার করে তেহরান। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলছে, এই সন্ত্রাসীদের ফার্স, তেহরান, আলবোর্জ, কারমান, কোম ও রাজাভি খোরাসান প্রদেশের পাশাপাশি দেশটির পূর্ব সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থার অঙ্গীকার করেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা শুধু শিরাজের মাজারেই নয় বরঞ্চ অস্থিতিশীল দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ সিস্তান ও বেলুচিস্তানের জাহেদান শহরে একই ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল।