কুর্দিস্তান গণভোট ঠেকাতে ইরান-ইরাক সামরিক মহড়া

ইরাকে কুর্দিদের গণভোট ঠেকাতে প্রতিবেশী ইরান সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে। ইরান-ইরাক সীমান্তে সোমবার এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র মাসুদ জাজায়েরি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। তাছাড়া সোমবার স্বাধীন কুর্দিস্তানের দাবিতে ওই অঞ্চলে গণভোট অনুষ্ঠানের কথা কুর্দি নেতাদের। খবর আরব নিউজের।

মধ্যপ্রাচ্যের আইএস সংকট কাটতে না কাটতেই নতুন সংকট সামনে এসে হাজির। এই সংকটের নাম স্বাধীন কুর্দিস্তান। ইরাকে এই সংকটের উৎপত্তি। এতে ইরাকের আশপাশের অঞ্চলগুলো নতুন করে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে।

ইরাকের প্রতিবেশী ইরান, তুরস্কর কপালে ভাজ পড়তে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষজ্ঞদের মতে ইরাকের কুর্দিস্তান আন্দোলন সফল হয়ে গেলে আগামীতে ইরান-তুরস্কে এই আন্দোলন শুরু হবে। যা সামাল দেয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ ইরাকের প্রতিবেশী এই দুই দেশে উল্লেখযোগ্য কুর্দি লোকের বসবাস। এসব লোকজন আবার ইরাকের কুর্দি অঞ্চল লাগোয়া তুরস্ক ও ইরানের সীমান্তে বসবাস করছেন।

আজ যদি ইরাকে কুর্দিস্তান গণভোট সফল হয় তবে আগামীতে ইরাক লাগোয়া তুরস্ক ও ইরানের সীমান্তগুলো কুর্দিদের সঙ্গে মিলে যেতে চাইবে। এতে ইরান ও তুরস্কের বেশ কিছু অঞ্চল হাত ছাড়া হয়ে যাবে। এ কারণে বর্তমান ইরাকি সরকারের সঙ্গে সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে ইরানের সেনাবাহিনী ও তার বিশেষ ইউনিট। তাদের কৌশল যেকোনো মতে ইরাক সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে কুর্দিস্তান আন্দোলন দমন করা।

এদিকে ইরাকি পার্লামেন্ট কুর্দিদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার গণভোটকে বাতিল করে দিয়েছে। কুর্দিস্তানকে মেনে নেয়া হবে না বলে মত দেয় ইরাকি পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য।

ইরাকি সেনারা কিছুদিন আগে তুরস্কের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামরিক মহড়া করেছে। তুরস্ক ইরাকি সেনাদের কুর্দিস্তান বিরোধী অভিযান সফল করতে যেকোনো সহায়তা দিতে রাজী আছে বলে জানিয়েছে।