মাদকসেবী ও মাদক কারবারিকে সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান : খাদ্যমন্ত্রীর

মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ভোট ধরে রাখতে অনেকেই মাদক কারবারিদের সাথে আপস করেন কিংবা না দেখার ভান করেন। ভোট কমে যাবে এই চিন্তা বাদ দিয়ে প্রতিটি গ্রামে মাদকের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালাতে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্ত্রী শনিবার (১৬ জুলাই) পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহাররোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু অভিযান চালিয়ে, গ্রেপ্তার করে বা সাজা দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এখন মাদক কারবারিরা নতুন ধরনের মাদক সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ভয়াল মাদক যুব সমাজকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করছে।

মন্ত্রী মাদকের অপব্যবহাররোধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জেলা বা উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী কোনো মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষে সুপারিশ করতে পারবে না। যদি কোনো নেতাকর্মী কোনো মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষে সুপারিশ করতে যায় সে মামলার চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন‍্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগামী প্রজন্মকে মাদকের প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে একটি সুস্থ্ জাতি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে পরিবার থেকেই আন্দোলন শুরু হওয়া দরকার। মাদকের বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এক সাথে কাজ করারও আহবান জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পোরশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো: ফজলুর রহমান। এছাড়াও সহকারি কমিশনার ভূমি জাকির হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ জহুরুল হক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা এবং নিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধিগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।