বগুড়ার মহাস্থানে তিব্র গরমে হাতপাখা কিনছে পর্যটকরা

“তাল পাখা হাতে নিয়ে, তোমার শিওরে বসে, নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেব, ঘুমাও তুমি ঘুমাও তুমি, ঘুমাও তুমি ঘুমাও” জেমসের এ গানটির কথাও অনেকেরই মনে আছে হয়তো। তাল পাখা নিয়ে রচিত এমন আরো অনেক গান, কবিতা আমাদের সাহিত্যে স্থান করে নিলেও আধুনিকতার প্রভাবে সে সাহিত্য এখন অনেকাংশে ইতিহাসের অংশ হবার উপক্রম হয়েছে।

বগুড়ায় তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট জনজীবন। বেড়েছে লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমে একটু শীতল পরশ পেতে কার না ভালো লাগে। বিশেষ করে লোডশেডিং এর সময়। তাইতো গরমের দিনে একটু স্বস্তি পেতে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল এলাকার মানুষের কাছেও হাতপাতার পাখার কদর বেড়ে চলেছে।

ফাল্গুন থেকে ভাদ্র এ সাত মাস আমাদের দেশে অধিক গরম অনুভ‚ত হয়। কিন্তু এবার আষাঢ় মাস থেকেই তিব্র গরম পরেছে। প্রচন্ড গরমে স্নিগ্ধ শীতল বাতাসের পরশ পেতে বগুড়ার মহাস্থানে দুরদুরন্ত থেকে পর্যটকরা কিনছেন হাত পাখা। এছাড়াও স্থানীয়রাও এলাকার বিভিন্ন বাজার থেকে হাতপাখা কিনছে।

শনিবারে মহাস্থানে সরেজমিনে গেলে কথা হয় পঞ্চগড় থেকে মহাস্থানে ঘুরতে আসা মিনারা বেগমের সাথে। সে জানায়, পরিবারে মহাস্থানে ঘুড়তে এসে তিব্র গরমে হাতপাখা কিনেছি। আমাদের মতো অনেকেই গরম থেকে বাঁচতে হাতপাখা কিনছে।
মহাস্থানের হাতপাখা ব্যবসায়িরা বলেন, বগুড়ার টেংড়া, দুপচাঁচিয়া, গোবিন্দগঞ্জের ফাসিতলা ও কুমিল্লা থেকে ৭-১৫ টাকা দরে তালপাখা কিনে আনি। তাল গাছ কমে যাওয়ায় এবং কাঁচামালের যোগান না থাকায় পর্যাপ্ত হাতপাখা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।

মহাস্থানের পাখা বিক্রেতা নাছির প্রাং বলেন, বর্তমান প্রতিটি তালপাখা, সূতার পাখা ও কাপড়ের গড়ে ১৫-৩০টাকা করে বিক্রি করি। গরম মৌসুমে গড়ে দৈনিক ৫০-৩০০টি হাতপাখা বিক্রি হয়। এর মধ্যে সে হিসেবে দৈনিক সাত হাজার টাকার হাতপাখা বিক্রি করি।

মহাস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাস্টডিয়ান রাজিয়া সুলতান বলেন, মহাস্থানগড়ে দৈনিক গড়ে ৩৫০-৫০০জন পর্যটক ঘুরতে আসে। তাদের মধ্যে অনেকেই তিব্র গরমে হাতপাখা কিনছে।