নরসিংদী রায়পুরায়

মেম্বারের কারণে সংসার ভাঙলো গৃহবধূর!

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মিয়ার মেয়ে অসহায় মোসাঃ খাদিজা আক্তার (১৯) এর সংসার ভাঙতে কৌশল খাটিয়েছিলেন অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার আলতাব মেম্বার ও শাশুরী সেলাফী এবং শশুর হাবিবুর বেন্ডার।

অবশেষে বাটিয়ারা এলাকার কিছু অসৎ মানুষের কারণে প্রতিনিয়ত লাঞ্চনা, নির্যাতনসহ অমানুষিক টর্চারিংএ স্বীকার হতে হচ্ছে খাদিজাকে।

গত ২৮/০৩/২২ইং তারিখে খাদিজার স্বামী পাষন্ড স্বামী ফয়সাল খাদিজাকে এলোপাতারি ভাবে যখম করিলে খাদিজার মা বিলকিছ বেগম তার মেয়েকে তাৎক্ষনিক নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঐখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন তার মেয়েকে।

এদিকে বিলকিছ বেগম গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, সেফালী বেগম ও তার স্বামী হাবিবুরসহ এলাকার কিছু দুসকৃতির কারণে প্রতিনিয়ত আমার মেয়েকে চর্টারিং করত ফয়সাল। হঠাৎ একদিন ফয়সাল আমাকে বলে আপনার মেয়েকে বাত খাওয়াতে হলে আমাকে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। না দিলে আপনার মেয়েকে তালাকনামা দিতে আমি দিধাবোধ করবো না। অথচ বিলকিছ বেগম তার মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখতে আগেই দুই লক্ষ টাকা খরচ করে ঘরসহ আসবাবপত্র কিনে দিয়েছিলো। এইগুলো দেখে দিন দিন ফয়সালের লোভর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এদিকে বটিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- এই মেয়ের সংসার ভাঙ্গতে আমাদের এলাকার কিছু দুষ্ট বিচারক দায়ী। এই মেয়েটা তার সংসার টিকিয়ে রাখতে একাধিক সালিশ বসালোও সংসার টিকেনি তার। কারণ হিসেবে সে অভিযোগ করে গ্রাম সালিশের কিছু অসৎ বিচারকদের মোটা অংকের টাকা দিতে না পারায়।
স্কুলে জীবন থেকে উত্তপ্ত করে বিবাহ করেন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা বটিয়ারা গ্রামের মৃত দোলোয়ার হোসেনের ছেলে বখাটে মোঃ ফয়সাল মিয়া (২৬)।

তার স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা আক্তার জানান যে, তার স্বামী মোঃ ফয়সাল মিয়া বিয়ের পর থেকেই যৌককের টাকার জন্য তাকে নিয়মিত মারধুর করতো। এবং তার স্বামী বিয়ের আগে থেকেই অনেক মেয়ের সাথে পরকিয়া করে আসতেছিলো, যা তিনি বিয়ের পর জানেন। তার এই সব কু-কৃর্তি জানার পর থেকেই তার প্রতি নির্যাতনের চাপ দিন দিন বেড়েই চলছে। তাকে প্রতিনিয়ন যৌতুকের টাকার দেওয়ার জন্য নির্যাতন করা হতো।
যৌতুক না দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন খাদিজা।

এদিকে রাজাবাড়ি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, খাজিদা একজন সহজ সরল মেয়ে ছিলো। বখাটে ফয়সাল মরজাল কাজী মোঃ বশির উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় তাকে নিয়মিত উতপাত করতো।
এক পর্যায়ে খাদিজা বাধ্য হয়ে মানসম্মানের ভয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দেন মোহর দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিবাহের কিছুদিন যেতে না যেতেই বখাটে ফয়সালে কু-কৃর্তি ফাঁস হতে থাকেন। জানা যায় যে, সে স্কুল ও কলেজ পড়োয়া মেয়েদেরকে উত্তপ্ত করতেন।

এ ঘটনায় খাদিজা আক্তার বাদি হয়ে নরসিংদী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, নরসিংদীতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে অত্র ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউ.পি সদস্য আলতাব মেম্বার এক গ্রাম্য শালিসার মাধ্যমে উক্ত মামলাটি আপস করা হয়। কিন্তু আপসের কিছুদিন যেতে না যেতেই বখাটে ফয়সাল ক্ষুপ্ত হয়ে খাদিজার উপর অমানসিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। তিন লক্ষ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় খাদিজা তার বাবার বাড়িতে অসুস্থ থাকা অবস্থায় বখাটে ফয়সাল তাকে তালাক দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন খাদিজা।

এ বিষয়ে খাদিজা সরকারের কাছে ন্যায় বিচার চাই বলে দাবি জানায়।

এদিকে খাদিজা তার বক্তব্যে জানান যে, তার শাশুড়ী সেফালী বেগম ও তার শশুর হাবিবুর বেন্ডার এবং ২নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য আলতাব মেম্বারসহ তার ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে আজকে সংসার ভাঙ্গলো আমার। এমনকি আমার দেনমোহরে থাকা কাবিনের পাঁচ লক্ষ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে দিবে। এবং তার বিনিময়ে কাবিনের সম্পূর্ণ টাকা বুঝিয়া পেয়েছি বলে লিখিত দিতে।

এ বিষয়ে মরজাল ইউনিয়নের ইউ.পি সদস্য মোঃ আলতাব হোসেন এর নিকট জানাতে চাইলে, তিনি স্বীকার করেন একাধিক সালিশের কথা।
কিন্তু মেয়েকে দুসকৃতি বলে আক্ষা দেন তিনি।

অপরাধীদের খুঁজে বের করে এবং সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসলে আইনের প্রতি সাধারন মানুষের বিশ্বাস আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।