দূর পাহাড়ে রঙ্গের মেলা

বৈসাবিন উৎসবে ভাসলো তিন পার্বত্য জেলার সকল সম্প্রদায়ের মানুষ

খাগড়াছড়ি রাংগামাটি বান্দরবান পার্বত্য জেলা এই অঞ্চলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব ”দূর পাহাড়ে রঙ্গের মেলা”য় পরিনত হয়েছে। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু, মারমা সম্প্রদায়ে সাংগ্রাই আর চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু এবং বাঙালি জনগোষ্ঠীর বাংলা নববর্ষ(বৈ-সা-বি-ন)কে ঘিরে পুরো তিন পার্বত্য জেলাসহ অন্যান্য জেলার প্রতিটি জনপদ আনন্দের রং ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরে ঘরে চলছে নানা খানা-পিনা, নাচ-গান। সে সাথে চলছে প্রথাগত নিয়মে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী নানা খেলাধুলা।
দুই বছর পর রং লেগেছে পাহাড়ে। বর্ণিল নানা আনুষ্ঠানিকতায় মেতেছে পার্বত্য জনপদ। শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত এলাকা ছোট থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের আপন কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আনন্দ আয়োজন করেছে। করোনা মহামারির বছর দুটির পর বড় পরিসরে এবার বৈসাবি উৎসব পালন হচ্ছে। গত মঙ্গলবার(১২ই এপ্রিল) সকালে নদী-ছড়াসহ প্রাকৃতিক পানির উৎসে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসব। চলবে এক মাস ধরে। যদিও উৎসবকে ঘিরে অনেক আগে থেকে নানা আয়োজনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিক সংগঠন।
প্রত্যন্ত এলাকার জুমিয়ারা জুমে উৎপাদিত অনেক পণ্য জমিয়ে রাখেন। যাতে ঐতিহ্যবাহী উৎসবে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে যেন পরিবার নিয়ে আনন্দ করতে পারে। উৎসব উপলক্ষে অজপাড়া গাঁয়ের ঘরের কিংবা উঠানে পরেছে নতুন মাটির প্রলেপ। ঘরের দরজায় কিংবা জানালায় শোভা পাচ্ছে বুুনোফুল। আর সবটুকু আয়োজন হলো প্রাণের ‘বৈসাবি’ উৎসবকে ঘিরে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈ-সা-বি-কে ঘিরে পুরো তিন পার্বত্য জেলায় আনন্দের রং ছড়িয়ে আনাচে-কানচে দুর্গম এলাকাতে পড়েছে। গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের তিন দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব। মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে তিন পার্বত্য জেলা শহর নানা রং-এ রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সাংগ্রাই র‌্যালী ও রিইলং পোয়ে বা জলকেলি বা জলোৎসব। সকালে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ক্যং ফুল পূজার মধ্য দিয়ে সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা হয়। সাংগ্রই উৎসব উপভোগ করতে তিন পার্বত্য জেলায় এসেছে বিপুল সংখ্যক পর্যটক।


মারমা সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব হলেও ধর্মীয় ও সামাজিকতায় মাসব্যাপী চলতে থাকে এ উৎসব। মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি রাংগামাটি বান্দরবান জেলা শহর নানা রং-এ রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সাংগ্রাই র‌্যালি ও রিইলং পোয়ে বা জলকেলি বা জলোৎসব। বৃহস্পতিবার সকালে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ক্যং ফুল পূঁজার ও বুদ্ধ মুর্তি ¯œান মধ্য দিয়ে সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা হয়। সাংগ্রাই উৎসব উপভোগ করতে খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলাতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটে।
ঐতিহ্যবাহী রিইলং পোয়ে বা জলকেলি বা জলোৎসবে তরুণ-তরুণীরা একে অপরের দিকে পানি নিক্ষেপ করে প্রিয় ভালবাসা মানুষকে উল্লাস প্রকাশ করে মারমা সম্প্রদায়ের মানুষ। মারমা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দু:খ-গøানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সে সাথে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে বেঁছে নেবে তাদের জীবন সঙ্গীকে। সাংগ্রাই উৎসব উপভোগ করতে খাগড়াছড়ি রাংগামাটি বান্দরবান এসেছেন অনেক পর্যটকও। এছাড়াও উৎসব উপলক্ষে নানা খেলা-ধুলা,পিঠা উৎসব,মারমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও ওপেন কনসাটের আয়োজন করা হয়।
অপর দিকে চাকমা সম্প্রদায় বৃস্পতিবার পালন করেছে পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। একই সাথে বুধবার থেকে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হারিবৈসু,বিযুমা, বিচিকাতাল। ফুল বিজু, মূলবিজু ও বিচিকাতাল নামে নিজস্ব বৈশিষ্টতায় এ উৎসবে আনন্দের আমেজ ছড়ায়। ত্রিপুরা ভাষায় এ উৎসবকে বৈসু, মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই আর চাকমা ভাষায় বিজু বলা হয়।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নব বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। ত্রিপুরা, মারমা, চাকমা ও বাংলা সম্প্রদায়ের এই চার সম্প্রদায়ের উৎসবের নাম একত্র করে বৈসাবিন শব্দটির নতুন উৎপত্তি। শুভ নববর্ষ ১৪২৯উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। গত বৃহস্পতিবার(১৪ই এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন বর্ণিল সাজে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদা সম্পন্ন) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষ এই দিনে প্রতিটি ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে। এটি বাঙালির একটি সার্বজনীন লোক উৎসব। কল্যাণ ও নতুন বছরের জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গøানি ভুলে নতুন করে সু-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষ।
বৈসাবি এক সময় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য হলেও বৈসাবিন সম্পৃক্ত হওয়ায় এখন সার্বজমিন ও জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবের মধ্যে পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি আরো সু-দৃঢ় হোক এ প্রত্যাশা জনপ্রতিনিধিসহ সকলের।
গত বুধবার(১৩ই এপ্রিল) সকালে শহরের পানখাইয়া পাড়ায় মারমা উন্নয়ন সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত সাংগ্রাই ও রিইলং পোয়ে বা পানি উৎসবের উদ্বোধন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী ও উদ্বাস্তুুপুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তার সাথে সাথে উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। পরে শহরে বের হয় বর্ণিল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে ও ঐতিহ্যবাহী রিইলং পোয়ে বা জলকেলি বা জলোৎসবে মেতে উঠেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুন-তরুনীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিজিএফআইয়ের ডেট কমান্ডার কর্ণেল ইশতিয়াক আহমেদ,খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রæু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর জাহিদ হাসান,জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশিরুল হক ভ‚ইয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব বৈসাবি‘তে কয়েকশ বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গরয়া নৃত্য এক পরিচিত সংস্কৃতি। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম ত্রিপুরা সম্প্রদায়। আর ত্রিপুরাদের প্রধানতম সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব বৈসুকে কেন্দ্র করেই এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাড়ায় পাড়ায় চলছে তাদের ঐতিহ্যবাহী ‘গরয়া নৃত্য’। বৈসুক শুরু হয় বর্ষ বরণের আগের দিন থেকে। আর বৈসুক শুরুর এক সপ্তাহ আগেই সাধারণত গরয়া নৃত্যের দল বেরিয়ে পড়েন পাহাড়ের এ প্রত্যন্ত থেকে ঐ প্রান্তে। গরয়া নৃত্যটি ত্রিপুরাদের জনজীবনে বিজয় স্মারক হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। বৈসুকের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে কমপক্ষে ১৬জনের ত্রিপুরা নারী-পুরুষ বেরিয়ে যান পাহাড়ি বিভিন্ন পল্লীতে। প্রতিটি ঘরের উঠোনে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের গরয়া নৃত্য পরিবেশন করেন। শিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে বয়সী একজনের কাঁধে থাকে শুল। পতাকার মতো করে শুলে বাধা থাকে একটি খাদি। শুলটি যে ঘরের আঙ্গিনায় বসানো হবে, সেখানেই চলে বিচিত্র ও আনন্দঘন পরিবেশে গরয়া।
প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা গেছে, নৃত্যের উল্লেখযোগ্য অন্তত ২২টি মুদ্রার মধ্যে চাংখা কানাই, খলাপালনাই, মাইকিসিল নাই, তাকরু তাই নাই, তুলা কানাই, খুল খুক নাই, রিসু নাই, মাতাই খুলুমনাই প্রভৃতি পরিবেশন করা হয়ে থাকে। মেয়েরা রিনাই রিচাই, গলায় মুদ্রার মালা এবং ছেলেরা ধুতি মাথায় গামছা বাঁধেন।
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক প্রভাংশু ত্রিপুরা বলেন, ১৫১৩খ্রিষ্টাব্দে কুকি রাজের সঙ্গে ত্রিপুরা মহারাজা ধন্য মানিকের যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে কুকি রাজ পরাজিত হন। যুদ্ধকালীন সময়টি ছিল চৈত্র সংক্রান্তি। তখন কুকিরা আরম্বর সহকারে গরয়া উৎসব করছিল। গরয়া হলো প্রেমের দেবতা, দুঃখ দুর্দশা দুর করে কল্যাণ ও মঙ্গল বয়ে আনে। প্রকারান্তরে তিনি মহাদেব। এদিকে ত্রিপুরা রাজাও মহাদেবের ভক্ত ছিলেন। তখন তিনি কুকিরাজকে যুদ্ধে পরাজিত করে তাঁর কাছ থেকে গরয়া দেবতা এনে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সেদিন থেকে তাঁর রাজ্যে এই গরয়া দেবতার পূজা উৎসব এবং নৃত্য উৎসব প্রচলন করেছিলেন। সেই থেকে গরয়া নৃত্য পরিবেশিত হয়ে আসছে।
মূলত গ্রামবাসীর কল্যাণ ও মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই হাজার বছর ধরে ত্রিপুরা সমাজে বিশেষ এই নৃত্যের মাধ্যমে গরয়া দেবতার প্রতি পূজা অর্চনা হয়ে আসছে। আর গরীব ধনী সব ত্রিপুরাই যেন এ পূজা করা থেকে বঞ্চিত না হন; সেজন্যই প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে গরয়া করা হয়।
গ্রামবাসীর কল্যাণ ও মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই হাজার বছর ধরে ত্রিপুরা সমাজে বিশেষ এই নৃত্যের মাধ্যমে গরয়া দেবতার প্রতি পূজা অর্চনা হয়ে আসছে। আর গরীব ধনী সব ত্রিপুরাই যেন এ পূজা করা থেকে বঞ্চিত না হন; সেজন্যই প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে গরয়া করা হয়। তিন পার্বত্য জেলার ত্রিপুরাদের গরয়া নৃত্যের ধরনে কিছুটা বৈচিত্র্যতা লক্ষ্য করা যায়। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক প্রথা এবং উৎসবের আমেজের মিল আছে অভিন্ন।
প্রতিবছরের মতো বৈসাবি উৎসব ঘিরে জেলা-উপজেলা শহরে আয়োজনের কমতি নেই। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যালি, খেলাধুলা, মহামুনি বৈশাখী মেলাসহ আরও কত কী। তবে প্রাণ থাকে প্রত্যন্ত গ্রামের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুুষগুলোর একত্রিত হয় ছোট আয়োজনে। এসব আয়োজনে অর্থের অভাব থাকলেও অন্য কোনো কিছুর অভাব নেই তাদের। হয়তো বর্ণিলতার ছাপ থাকে না, বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকে না, শহরে ডাক-ঢোল বাজে না, বিলাসী আয়োজন থাকে না। থাকে আন্তরিকতা, পরিবারবোধ, প্রাণশক্তি। এসব আবার শহরের মানুষগুলোর আয়োজনে থাকে না! পাড়ায় পাড়ায় চলছে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও ত্রিপুরাদের গরয়া নৃত্য। পাশাপাশি তঞ্চঙ্গ্যা,বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো,খুমি,আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩টি ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্রময় করে তুলতে প্রতিবছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে এ উৎসব করে থাকে।
বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সাজ ও বর্ণিল আয়োজন দেখতে ভিড় করেছেন দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। তারাও নানা রঙে সেজে উদযাপন করছেন পাহাড়ের এ উৎসব। চাকমারা মূল বিজু, মারমারা মূল সাংগ্রাই-আকেই-আতাদা, ত্রিপুরারা হারি বৈসু নামে পালন করেছে। বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরো সুদৃঢ় হোক এই প্রত্যাশা সবার।