মোস্তাফিজদের পরীক্ষা নিল প্রোটিয়াদের আমন্ত্রিত একাদশ

তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ফল যাই হোক, ব্যাটসম্যানরা কেমন ব্যাটিং করল কিংবা বোলাররা প্রতিপক্ষের ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারল কি না সেটাই দেখা হয়। বেনোনির উইলোমোর পার্ক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমদিন ভালোই ব্যাটিং করেছিলেন মুশফিক-মুমিনুলরা।

দ্বিতীয়দিন ছিল বোলারদের পরীক্ষার দিন। মোস্তাফিজ, তাসকিন, শফিউল কিংবা সুভাশিষ রায়রা কেমন প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছেন সেটাই ছিল দেখার মূল; কিন্তু প্রোটিয়াদের আমন্ত্রিত একাদশ বলতে গেলে মোস্তাফিজদের পরীক্ষাই নিয়েছে। বাংলাদেশের পেসার এবং স্পিনারদের ভালোমতোই তারা সামলে নিয়েছে। বাংলাদেশের ৭ উইকেট হারিয়ে ঘোষণা করা ৩০৬ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশও ইনিংস ঘোষণা করেছে ৮ উইকেটে ৩১৩ রানে। অর্থ্যাৎ ৭ রানের লিড নিয়ে।

আগেরদিনই অবশ্য একটি উইকেট পড়েছিল প্রোটিয়া দলটির। রানআউট হয়েছিলেন একজন ওপেনার। দ্বিতীয়দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে অন্য ওপেনার ইয়াসিন ভালি ১০ রান করেই এলবির শিকার হন। এরপর শফিউলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে দ্রুত ফেরেন লেউস ডু পলি। মাত্র ৪ রান করেন তিনি।

মোস্তাফিজের বলে মাত্র ১৬ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেনও। তখন মনে হচ্ছিল বুঝি, বাংলাদেশের পেসারদের দিন এটা; কিন্তু ধারণা পাল্টে যায় কিছুক্ষণ পরই। জুবায়ের হামজা আর ম্যাথ্যু ব্রিজকে মিলে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। হামজা করেন ৬০ রান। ব্রিজকে করেন ৪৪ রান।

এই দুই জন ফিরে গেলেও ম্যথ্যু ক্রিস্টেনশেন ৫৩, মিগায়েল প্রিটোরিয়াস করেন ৪২ রান। শন ফন বার্গ তো ৬২ রানে অপরাজিতই থাকলেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন প্রোটিয়ারা।

শফিউল নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট। এছাড়া মোস্তাফিজ, সুভাশিষ, মিরাজ, তাসকিন এবং তাইজুল নেন ১টি করে উইকেট। ৭ রান পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভার খেলে বিনা উইকেটে ৬ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এখনও ১ রান পিছিয়ে টাইগাররা। দিন বাকি একটি।