যমুনায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল
উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে টাঙ্গাইলে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এতে করে জেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে সবজি, আমনসহ বিভিন্ন ফসলের। এছাড়াও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধলেশ্বরীর নদীর পানি ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পুংলী নদীর পানি ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বংশাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনাসহ সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ক্ষতি হচ্ছে সবজি, আমনসহ বিভিন্ন ফসলের। এছাড়াও পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী-তীরবর্তী টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেকেই ঘর সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বসবাস করছেন পলিথিন দিয়ে তৈরি ঘর ও খোলা আকাশের নিচে। নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছেন লোকজন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে জেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। নদী তীরবর্তী যে সমস্ত এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সে সমস্ত এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন