যশোরের রাজগঞ্জে জ্বরের প্রকোপ, চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। প্রচন্ড গরমে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে প্রাণিকূল। মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারাদেশের মত রাজগঞ্জেও। কয়েকদিন যাবৎ চলছে প্রচন্ড তাপমাত্রা। কিছুতেই কমছে না। চরম দূভোর্গে রয়েছে গরীব মানুষেরা। গরমের কারণে রাজগঞ্জ সাব সেন্টারসহ রাজগঞ্জ বাজারের ডাক্তারখানাগুলোতে বাড়ছে তাপজনিত রোগির সংখ্যা। বাজারের ডাক্তারখানাগুলোতে পল্লী চিকিৎসকরা রোগির চাপ সামলাতে রীতিমত হিমহিম খাচ্ছে। গরমের চলমান তীব্রতা আরো ৩/৪ দিন থাকতে পারে এমন তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, রাজগঞ্জ এলাকায় গরমের তীব্রতার কারণে প্রায় প্রতিটা বাড়িতে মানুষ জ্বর, সর্দি, কাঁশি এমনকি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আর গরীব (দিন আনা দিন খাওয়া) পরিবারগুলো এই জ্বরে আক্রান্ত রোগী নিয়ে দূর্বিসহ জীবন-যাপন করছে। তাদের পরিবারে চলছে ত্রাহি অবস্থা।

সরেজমিনে দেখাগেছে, রাজগঞ্জ বাজারের প্রতিটা ডাক্তারখানায় জ্বর, সর্দি, কাঁশিতে আক্রান্ত রোগিরা লাইন দিয়ে ওষুধ নিচ্ছেন। আর এই সময়েই প্যারাসিটামল সহ ৫৩টি ওষুধের দাম বেড়েছে বাজারে। আর এই বাড়তি দামের ওষুধ কিনতে পিঠে দেয়াল ঠেকে যাচ্ছে গরীব মানুষদের। প্রচন্ড গরম, নিত্যপণ্যের দামের উর্ধমূখিতা ও রোগের তীব্রতা। সবমিলিয়ে মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা আর হতাশা।

রাজগঞ্জ বাজারের নাম না বলার শর্তে একজন পল্লী চিকিৎসক বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষ প্রতিদিনই গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের সাধ্যমতো, আমরা ওষুধপত্র দিচ্ছি সর্দি, জ্বরে আক্রান্তদের। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন কতো রোগী দেখছি, তার কোনো হিসাব নেই। সবাই গরম জনিত রোগে আক্রান্ত। স্থানীয় আব্দুস সাত্তার নামের একজন বলেন, যেভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর খরা চলছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে মানুষ আরো জ্বর, সর্দি, কাঁশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। এমনকি ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগও বাড়তে পারে। তিনি এরোগ থেকে রক্ষা পেতে বিনা কারণে গরমে বাইরে না যাওয়া, প্রচুর পরিমানে পানি পান করা, ফলের রস পান করা এবং পরিস্কার পরিছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

আব্দুস সাত্তার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের দৃষ্টি আর্কষন করে বলেন, আপাতত এই প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শিডিউল মাফিক করেন। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে মানুষ আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়বে। এবিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত গরম ও ঠান্ডা মিশে এ রোগ বৃদ্ধি পায়। এক্ষত্রে ওষুধের পাশাপাশি ডাব, লেবুর শরবত এবং বিশুদ্ধ পানি পানের বিকল্প নেই।

তিনি গরমজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিশুদের এসব রোগ থেকে মুক্ত রাখতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।