যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের মাটিতে চীনের বিনিয়োগ

চীন পাকিস্তানে যেভাবে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যাবে দেশটি। চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ বাণিজ্যিক রুটের জন্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার যাচ্ছে পাকিস্তানে। তাদের পরিকাঠামোকে আরও চাঙ্গা করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে মত বিশেষজ্ঞদের।

যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে চীন ২০ কোটি জনসংখ্যার প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্ক জোরদার করছে। আর এজন্যে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) নির্মাণের জন্য প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই নতুন মাত্রার সূচনা ঘটে।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, পাকিস্তানে প্রত্যক্ষ মার্কিন বিনিয়োগ ২০১৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০৫ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে প্রতিবেশী চীন থেকে এসেছে ১.৮২ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থায় নিয়ে যেতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে চাঙ্গা করার এই পরিকল্পনাটি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের।

চীন রেল, বন্দর ও মহাসড়কের মাধ্যমে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপে বাণিজ্যে জোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে সিল্ক রোড নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। চীন তার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে তার অবস্থান ক্রমাগত জোরদারও করছে। গত তিন বছরে রেকর্ড ৭৭টি চীনা কোম্পানি পাকিস্তানে ঘাঁটি তৈরি করেছেন। এমনকি, পাকিস্তানের একাধিক সংস্থায় টাকা ঢালছে চীন।

পাকিস্তান রেল থেকে বিদ্যুৎ খাতে কয়েক কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে চীন। চীন যেভাবে পাকিস্তানের মাটিতে বিনিয়োগ করছে তাতে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রমশ আধিপত্য কমছে আমেরিকার। অন্যদিকে, চীন যেভাবে পাকিস্তানের মাটিতে আধিপত্য বাড়াচ্ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতেরও। কারণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে যে চীন এসে দাঁড়াবে সেটাই স্বাভাবিক।