যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল যুক্তরাষ্ট্র। আর প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডস। নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ডাচরা।

নেদারল্যান্ডসের পক্ষে গোল করেন মেম্ফিস ডিপায়, ডেলি ব্লিন্ড ও ডেনজিল ডামফ্রিস। ৭৬ মিনিটে আমেরিকানদের হয়ে একটি গোল শোধ করেন হাজি রাইট।

প্রথমার্ধে দুই গোল দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয়ার্ধে রাইটের গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দিলেও শেষটা মধুর হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। শেষের দিকে ডেনজেলের আরও এক গোলে জয় পোক্ত হয় ডাচদের।

গত রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা হয়নি নেদারল্যান্ডসের। বাছাইপর্বই পার হতে পারেনি দলটি। অথচ তার আগের বিশ্বকাপে, অর্থাৎ ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল ডাচ শিবির। অন্যদিকে বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০০২ বিশ্বকাপ। গত আসরে খেলা না হলেও এবার নকআউট পর্বে উঠে এসে চমক দেখিয়েছিল মার্কিন দলটি। কিন্তু তাদের যাত্রা থেমে গেল শেষ ষোলোতেই।

অথচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত যুক্তরাষ্ট্র। টেইলর অ্যাডামসের ক্রসে ডি-বক্সে বল পেয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। সামনে একমাত্র বাধা ছিলেন গোলরক্ষক। চেলসি ফরোয়ার্ডের নিচু শট পা দিয়ে ফেরান আন্ড্রিস নোপার্ট।

১০ মিনিটে লিড নেয় নেদারল্যান্ডস। ডেনজেল ডামফ্রিসের পাসে যুক্তরাষ্ট্রের জাল কাঁপান মেমফিস ডিপে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডাচরা। ডামফ্রিসের কাটব্যাক পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান ডিফেন্ডার ডালে ব্লিন্ড (২-০)।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ৭৬ মিনিটে গোলও পেয়ে যায় দলটি। জোরালো শটে ডাচদের জাল কাঁপান হাজি রাইট। যদিও শেষ মুহূর্তে বলটি ফেরাতে গিয়েও ব্যর্থ হন ডাচ এক ডিফেন্ডার।

স্কোর লাইন তখন ২-১। নির্ভার থাকতেই আক্রমণে ঝাঁপায় আবার ডাচরা। সফলও তারা। ৮১ মিনিটে ডানজেল ডামফ্রিসের গোল। ৩-১ এ লিড নেদারল্যান্ডসের। যুক্তরাষ্ট্র শেষের দিকে কিছু সুযোগ তৈরি করলেও তাতে পূর্ণতা পায়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার আনন্দে ভাসে নেদারল্যান্ডস শিবির।

ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র বেশ লড়াই করেছে, তা পরিসংখ্যানে স্পষ্ট। ১৭টি শটের মধ্যে তাদের ৮টি শট ছিল লক্ষ্যে। সেখানে নেদারল্যান্ডস ১১ শটের মধ্যে ৬টি রাখতে পেরেছিল লক্ষ্যে। বল পজিশনেও যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে ছিল, ৫৯ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্র পাঁচটি কর্নার আদায় করে, ডাচরা পায় চারটি।