যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দি ও উর্দুকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রে ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে হিন্দি ও উর্দুকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা। ইংরেজি ছাড়া বাংলার আগে আছে শুধু তেলেগু।

২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ সাত বছরের এক পরিসংখ্যানে এমনটাই উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজের প্রকাশিত এ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫৭ শতাংশ। তার আগে একমাত্র তেলেগু প্রায় ৮৬ শতাংশ। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, তেলেগু ও বাংলার ধারেকাছেও নেই চীনা ও স্প্যানিশ ভাষাভাষীরা।

দেখা যাচ্ছে, ২০১০ সালে আমেরিকায় বাংলাভাষী জনসংখ্যা ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার। আর ২০১৭ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। ভাষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও জনসংখ্যার ক্ষেত্রে এ তালিকায় শীর্ষে থাকা মান্দারিন বা চীনা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ।

শুধু বাংলা বা তেলুগু নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে ইংরেজি ছাড়া অন্যান্য ভাষাগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষ বাড়িতে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন। সংখ্যার হিসাবে যা দেশের মোট জনসংখ্যার (৩২.৫ কোটি) প্রায় ২২ শতাংশ। অথচ ১৯৮০ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ শতাংশ।

তেলেগু ভাষাভাষী বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, গত কয়েক দশকে হায়দরাবাদ থেকে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছেন। পড়তে গিয়ে আমেরিকাতেই থেকে যাচ্ছেন এই ভাষাগোষ্ঠীর সদস্যরা।

এই যোগাযোগের কারণেই শেষ কয়েক দশকে হায়দরাবাদ ও অন্ধ্রপ্রদেশে প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরি হয়েছে। হায়দরাবাদ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ মেলালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই বিদেশি ভাষাগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বাড়ছে। দেশটির বড় পাঁচটি শহরেই ৪৮ শতাংশ মানুষ বাড়িতে ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষায় কথা বলেন। নিউইয়র্ক এবং হাউস্টনে এই সংখ্যা প্রায় ৪৯ শতাংশ, লস এঞ্জেলেস শহরে ৫৯ শতাংশ, শিকাগোতে ৩৬ শতাংশ এবং ফিনিক্সে ৩৮ শতাংশ।