রংপুরে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সেনাসদস্য আটক
রংপুরের মিঠাপুকুরে সদ্য সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগদান করা এক সৈনিক তার কলেজ পড়ুয়া বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকার বাড়ির লোকজনের হাতে আটক হয়েছেন। কলেজ ছাত্রীর দাবি, ঐ সেনাসদস্যসহ একই কলেজে পড়ার সময় তাদের বন্ধুত্ব থেকে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। এরপর ওই সেনাসদস্য তাকে বিয়ের প্রলোভণে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেন।
ঐ কলেজ ছাত্রী এবং তার পরিবার জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ১৩ নং শাল্টি-গোপালপুর ইউনিয়নের মরিচবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া (২১) মেয়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের মোঃ শাওন মিয়ার (২২) একই কলেজে পড়ার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শাওনের সৈনিক পদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি হলেও তাদের নিয়মিত যোগাযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক চলমান ছিলো।
সৈনিক পদে চাকরিতে যোগদান করার পরেও শাওন ছুটিতে আসলে ঐ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভণে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করতেন বলে ঐ ছাত্রী জানান।
সোমবার (৪-সেপ্টেম্বর) রাত্রি আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটে সেনাসদস্য শাওন, তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে মোটরসাইকেল যোগে ঐ ছাত্রীর বাড়িতে যান, এবং তার সঙ্গে থাকা দূরসম্পর্কের চাচাকে বাহিরে পাহারা রেখে ঐ ছাত্রীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর ঐ ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন। বিষয়টি ঐ ছাত্রীর পরিবার বুঝতে পেরে ঘরে গিয়ে অভিযুক্ত সেনাসদস্যকে আটক করে তার পরিবারকে খবর দেয়।
৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার (৫-সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিয়ের জন্য সেনাসদস্যকে জোরাজোরি করলেও ঐ ছাত্রীকে বিয়ে করার অস্বীকৃতি জানান সেনাসদস্য শাওন। পরে ঐ কলেজ ছাত্রী মিঠাপুকুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালে পুলিশ অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে সেনাসদস্য শাওন এবং তার চাচাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা অবধি পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ের জন্য শেষমেষ উভয় পরিবার রাজি হলেও ঐ ছাত্রী থানায় একটি ধর্ষনের অভিযোগ দেওয়ায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান।
তবে অভিযুক্ত সেনাসদস্য শাওনের দাবি, ঐ ছাত্রী তার বান্ধবী। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সাভার সেনানিবাস থেকে তিনি ছুটিতে এসেছেন। গতকাল রাতে টাকা হাওলাত সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তার চাকরির প্রলোভণে পড়ে তাকে ফাঁসিয়েছে ঐ ছাত্রী এবং তার পরিবার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন