রংপুর সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু আজ
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা আজ প্রতীক বরাদ্দ পাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়েই শুরু হবে উত্তরের এই জনপদের ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গতকাল রোববার ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। আগামী ২১ ডিসেম্বর এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে গতকাল জানানো হয়েছে, এই সিটি করপোরেশনে মোট সাতজন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ২৮৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, বিএনপির কাওছার জামান বাবলা, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী) জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী সেলিম আখতার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আবদুল কুদ্দুস ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের এ টি এম গোলাম মোস্তফা। এ ছাড়া ৩৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী পদে ৬৫ প্রার্থী রয়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে।
রংপুর সিটিতে ভোট হয়েছিল ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনে শপথ নেওয়ার পর প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর এর মেয়াদ থাকে। আর এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সে হিসেবে এই সিটি করপোরেশনে চলতি বছরের জুন থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা ছিল।
গত ৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা এক সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ধার্য করা ছিল ২২ নভেম্বর এবং মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয় ২৫ ও ২৬ নভেম্বর। গতকাল পর্যন্ত ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র রায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
২০১২ সালে নির্বাচনে জিতে সিটির প্রথম মেয়র হন শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। সে সময় দলীয় প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না, ফলে তখন তিনি দলীয় সমর্থন পেয়েছিলেন। এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী এক লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ এক হাজার ১৭৭টি। পাঁচ বছর আগে এ নির্বাচনের ভোটার ছিল তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন