রাজধানীর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজধানীর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আমরা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে কোথাও কোনো গ্যাপ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে কারো গাফিলতি আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স-২০২২ শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কারাগারে আটক বন্দিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশের শ্রম বাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের ৩৮টি কারাগারে যুগোপযোগী ৩৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারাগারকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগারে আটক কয়েদি বন্দিদের শ্রমে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর বিক্রির টাকা থেকে ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ তাদের মজুরি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। যা বন্দিরা তাদের পরিবারের কাছে পাঠাতে পারছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক, জিএমপি কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও কারা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

৬০তম ব্যাচ কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সটির কমান্ড্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন কারা ঢাকা বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হক। প্রধান প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম।