রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেখানকার শিশুরা
গত ২৪ ফ্রেবুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাময়িক অভিযান ঘোষনার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা।
এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধের কারনে ইউক্রেন ছেড়েছে ৩১ লাখেরও বেশি মানুষ। ইউক্রেন দাবি করছে যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৩ হাজার ৮০০সেনা নিহত হয়েছে কিন্ত রাশিয়া বলছে ভিন্ন কথা যুদ্ধে তাদের ৫০০সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের ২৫০০সেনা নিহত হয়েছে।
আবার যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫থেকে ৬হাজর রুশ সেনা নিহত হয়েছে। কারটা সত্যি সেটা বোঝা মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন সাবেক বিশ্ব সুন্দরী প্রিয়াংঙ্কা চোপড়া তিনি বলেন, ‘এই মুহুর্তে চরম অনিশ্চয়তার মুখে ইউক্রেনের ৭৫ লাখ শিশুর জীবন’। তাদের জন্য জরুরি সাহায্য পাঠাতে অনুরোধ করেছেন তিনি। যুদ্ধ শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফের মুখপাত্র জো ইংলিশ। যুদ্ধের কারনে সৃষ্ট অর্থনেতিক সংকট পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার প্রায় ৪০ লাখ শিশুদের দারিদ্রতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
গত বছর মে মাসে ইউক্রেনের জন্য চার হাজার কোটির তহবিল বরাদ্দ করেছিল ওয়াশিংটন।
ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ যত স্থায়ী হবে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি তত বাড়বে। বর্তমান বিশ্বের ১০০টি অস্ত্র উৎপাদন কোম্পানীর মধ্যে ৪০টি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এক কথায় সারা পৃথিবীর অস্ত্র ব্যবসাই তারা নিয়ন্ত্রন করে। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য ইউরোপের অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উন্নত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য তৎপর হয়েছে। জার্মানির ৩৫টি এফ জঙ্গিবিমান ও ক্ষেপনাস্ত্র কেনার কথা রয়েছ। আরও কিছু কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুদ্ধ শুরুর আগে অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল আসতো রাশিয়া থেকে বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। তাই চাহিদা থাকলেও অস্ত্রের উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে অনেক দেশ।
ইউক্রেনের পরিবারগুলো তাদের আয়ের সিংহভাগ খাদ্য ও জ্বালানির পেছনে ব্যয় করে। তাই শিশুদের পর্যাপ্ত ঔষধ নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। জাতিসংঘ বলছে রুশ অভিযানে ইউক্রেনে নিহতের মধ্যে ৭২জনই শিশু।
এদের নিয়ে যেমন রাশিয়ার কোন মাথাব্যাথা নেই তেমনি ইউক্রেনের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পরছে না। তাই এখনই সময় শিশুদের জন্য হলেও যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন