ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ

যে যুদ্ধে প্রান যাচ্ছে হাজারো নিরিহ মানুষের সে যুদ্ধ খুব শীঘ্রই বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু কে নেবে এর মধ্যস্থতার দায়িত্ব। দুপক্ষেরই উচিত হানাহানি বন্ধ করে শান্তিরপথে ফিরে আসা। যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন সহ একাধিক শক্তিধর দেশ ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাত সমাধানে ভূমিকা পালন করতে রাজি থাকলেও বাস্তবে তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আংকারা যতই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করুক বা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুক সে ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোকেই আগে এগিয়ে আসতে হবে।

পশ্চিমা মোড়লেরা সব সময়ই ইসরাইলকে খুশি করায় ব্যস্ত থেকেছে। তারা নিজেদেরকে শান্তির পক্ষের লোক বলে প্রচার করে আসলেও ইসরাইলের সকল অন্যায় কাজকে সমর্থন করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোকে ইসরাইলের পক্ষে আনার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র সকলকে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধাচরণ করার স্পর্ধা কারো নেই। যদি কেউ তা করে তবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস অথবা ইরান ও সিরিয়ার আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থিত হিজবুল্লাহ যদি তাদের সীমা অতিক্রম করে তাহলে শক্তিশালী মিত্রদের নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। যদিও হামাস বলছে তাদের ভূখন্ড রক্ষায় এক পাও পিছু হটবেনা। তাই যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে বিশ্বমোড়ল দাবি করলেও ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে সমর্থনের আদায়ের জন্য তাদের মিত্রদের উপর কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়ে চলছে। অথচ তাদের যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সুযোগ ছিল।

গাজা মীমান্ত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করেছে ইসরাইল এবং মিশর, যাতে হামাসের কাছে কোন অস্ত্র পৌঁছাতে না পারে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি জে.ব্লিঙ্কেন ইসরাইলসহ বিভিন্ন দেশ সফর করে তাদের মিত্রদের ফিলিস্তিনিদের উপর অন্যায় আচরনের সমর্থন আদায় ও ফিলিস্তিনিদের বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন।

২০২১ সালের মে মাসে ভয়াবহ সংঘাতের পর মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতার মাধ্যমে সংঘাতের অবসান হয়েছিলো। এবার তারও কোন সম্ভাবনা নেই।

সারা বিশ্বের মানুষকে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানানো উচিত। কেননা তারা অব্যাহতভাবে বিমান হামলা চালিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বর্বরতার সকলপথ বেছে নিয়েছে।

লেখক : আহম্মেদ ইফতেখার, ইন্দুরকানী ,পিরোজপুর।