রোহিঙ্গা ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না চীন

চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থিংকট্যাংক ও চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সহ-সভাপতি ড. রুয়ান জংজি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না চীন। বিশেষ কোনো দেশের প্রতি দুর্বলতা নেই চীনের।

বুধবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে কসকম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সমসাময়িক বিশ্বে চীনের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সেমিনারে রুয়ান এই কথা বলেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন কসমস গ্রুপের চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান।

আগামী জুলাইয়ের ১ থেকে ৪ তারিখ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করবার কথা রয়েছে। সেই বিষয়টি মাথাই রেখেই আয়োজন করা হয় সম-সাময়িক বিশ্বে চীনের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারের। যেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. রুয়ান।

তিনি এক অঞ্চল এক পথ, চীন-যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়ার সম্পর্কের টানা পোড়েনসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন, অগ্রগতি ও চীনের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের নিরপেক্ষ অবস্থানে কথা বলেন।

চীনের সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, ‘চীন সংকট সমাধানে আগ বাড়িয়ে কিছু করবে না। আমরা হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করি না। কারণ আমরা মনে করি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার নিজেরাই সমাধানে সক্ষম। আর উভয় দেশই আমাদের বন্ধু। বিশেষ কারো প্রতি আমরা দুর্বল এই ধারণাটি সঠিক নয়।’

তিনি বলেন, চীন বেল্ট ও রোড ইনিশিয়েটিভসে জন্য যে ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন তার অর্ধেক খরচ দিতে সক্ষম। এই অঞ্চলের সকল দেশেরই তাই উচিত হবে এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়া।

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার ও বাংলাদেশে উভয় দেশেই আমাদের যথেষ্ট বিনিয়োগ আছে। আমরা সার্বিকভাবে এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কারো কাজ করছি। গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে সকলের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।’