রোহিঙ্গা নিধনে মিয়ানমারকে সহায়তা দিচ্ছে ইসরায়েল

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান রোহিঙ্গা নির্যাতনে দেশটির সরকারি বাহিনীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট আই ও ইসরায়েলি দৈনিক হারেজের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।

হারেজের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত একশো জনের মতো রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এসব কিছুই ইসরায়েলের মিয়ানমার নীতি পরিবর্তন করেনি। বার্মাকে অস্ত্র সরবরাহে এসব কিছুকে বাধা মনে করছেন না ইসরায়েল।

সম্প্রতি ইসরায়েলের হাইকোর্টে মিয়ানমারের কাছে অব্যাহত অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে মানবাধিকার কর্মীরা আবেদন করে। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এ আবেদনের শুনানি হবে। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে মিয়ানমারের কাছে অব্যাহত অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে মানবাধিকারকর্মীদের এক আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে একশোরও বেশি ট্যাংক, সামরিক জলযান এবং অন্য কয়েক রকমের অস্ত্র বিক্রি করেছে তেল আবিব।

এছাড়াও রোহিঙ্গাদের বর্বর ও নৃশংস কায়দায় হত্যা-ধর্ষণ চালানোর জন্য অভিযুক্ত মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে ইসরায়েল। কোম্পানির ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইসরাইলি প্রশিক্ষকরা মিয়ানমারের সেনাদেরকে যুদ্ধ-কৌশল ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। রাখাইনে মোতায়েন বার্মিজ বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণে জড়িত রয়েছে ‘টার আইডিয়াল কনসেপ্টস’সহ ইসরায়েলি সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়ে সেই দেশের মানবাধিকার কর্মীরা ইসরাইলের হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের কিছু করার নেই। কারণ অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কূটনৈতিক ইস্যু। মিয়ানমারের সঙ্গে ইসরায়েলের শক্তিশালী কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।

যদিও মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।