শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত কয়েক শতাধিক

শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কয়েক শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহত মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়া সীমান্তের কাছে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এই তথ্য জানায়।

১৫ মিনিট পর আরেকটি ভূমিকম্প (আফটার শক) আঘাত হানে। এটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭৬ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। অঞ্চলটি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী।

শত শত মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার বরাতে বার্তাসংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের সাতটি প্রদেশে কমপক্ষে ২৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৪৪০ জনের বেশি।

অপরদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬৩০ জনের বেশি। এ ছাড়া বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন।

ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন উভয় দেশে মানুষ ঘুমে ছিল।

ভূমিকম্পে উভয় দেশে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। ধসে পড়া ভবনের ভেতরে অনেক লোক আটকে থাকতে পারেন। ফলে প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা উভয় দেশের কর্মকর্তাদের।

কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তত এক শতাব্দীর মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানার সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি।

রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কের অন্যান্য শহরেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ ছাড়া সিরিয়াসহ তুরস্কের প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভূকম্পন অনুভূত হয়।