অবৈধ দখল থেকে সিলেট জেলা পরিষদের জায়গা উদ্ধার

অবৈধ দখল থেকে সিলেট জেলা পরিষদের জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে নেমে প্রথম দিনেই চার একর ভূমি থেকে ৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলো।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সিলেট সদর উপজেলার বাদাঘাট সড়ক সংলগ্ন চার একর ভূমিতে গড়ে ওঠা আধাপাকা ও টিন শেডের ৭০টি অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, বাদাঘাট বাজার এলাকায় জেলা পরিষদের চার একর ভূমি প্রায় ১৮ বছর আগে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। একসনা বন্দোবস্তুকৃত এসব ভূমি ইজারা গ্রহিতারা আর নবায়নও করেননি। ফলে বেদখলে কেটে যায় দেড় যুগ। সে সব জায়গাতে অনেকে স্থায়ী ভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

সিলেট জেলা পরিষদের নবাগত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের পর সম্প্রতি এসব অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকা ভূমি নজরে আসে। মালিকানা ভূমি ফেরত পেতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, জন প্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকও হয়। পরে দোকানপাট সরিয়ে নিতে নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে ব্যবসায়ীদের নোটিশও করা হয়। কিন্তু অনেকেই নোটিশের বিষয়টি আমলে নেননি।
এরপর রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে জেলা পরিষদ। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে সেসব স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানকালে অনেক ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা যায়।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ পলাশ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্বদ্বীপ কুমার সিংহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমেদ ও সূর্যসেন রায়, সার্ভেয়ার মফিজুর রহমান, সাঁটলিপিকাটার এ কে এম কামরুজ্জামান মাসুম।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, বাদাঘাট বাজার এলাকায় জেলা পরিষদের মালিকানা ভূমি একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল। একসনা বন্দোবস্তের শর্ত অনুসারে, কোনো অবস্থায় ইজারাকৃত ভূমিতে স্থায়ী ভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। এসব শর্তাবলি কেউ লঙ্ঘন করলে ইজারা আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ইজারাদারগণ সেই শর্ত ভঙ্গ করেছেন। স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন। যে কারণে উচ্ছেদ অভিযানে সে সব স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত ভূমিতে স্থাপনা তৈরী করে জেলা পরিষদ ভাড়া দেবে।

তিনি বলেন, প্রচুর ভূমির মালিক থাকা স্বত্বেও জেলা পরিষদকে একটি মরা বাড়িতে পরিণত করে রাখা হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে সেসব সম্পদ ফিরিয়ে আনতে অভিযান চলমান থাকবে।