শাহরাস্তিতে ভাসুরের ছুরিকাঘাতে আহত গৃহবধূর মৃত্যু

সুজন দাস, চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ভাসুরের ছুরিকাঘাতে আহত ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

কোহিনুরের পরিবার ও থানায় মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল রাত ২টার দিকে শাহরাস্তি পৌরসভাধীন ১১নম্বর ওয়ার্ডের ভাটনীখোলা গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৪০) বসতঘরে সিঁধ কেটে কোহিনুরের ঘরে প্রবেশ করে। পরে জহিরুল তাকে (কোহিনুর) এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। ওইসময় তার মেয়ে মুক্তা আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। জহিরুল ইসলাম কোহিনুরের সম্পর্কে চাচাতো ভাসুর হয়। এ ঘটনার পর জহিরুল পালিয়ে যায়। কোহিনুরের স্বামী আরিফুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী। ঘটনার পর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

স্থানীয়রা ও গ্রামবাসী কোহিনুর ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তিনি (কোহিনুর) মারা যায়। এ ঘটনায় কোহিনুরের দেবর হাবিবুর রহমান শাহরাস্তি থানায় জহিরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন । মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহরাস্তি থানার এসআই আবদুল আউয়াল গত ১৯ এপ্রিল রাতে তিনজনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, জহিরুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী লাকি আক্তারকে কোহিনুরের ছোট ভাই বিয়ে করেন। এ বিয়ের জন্য জহিরুল কোহিনুরকে দায়ী করে আসছে। মূলত বিয়ের ঘটনার কারণেই জহিরুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম জানান, কোহিনুর মারা যাওয়ায় হত্যা চেষ্টার মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আর প্রধান আসামী জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
নিহতের আত্মীয়স্বজন জানান, গতকাল সন্ধ্যায় কোহিনুরের মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।