শীতের বরণে ইবিতে কুহেলিকা উৎসব

বেশ কয়েকদিন ধরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শীতের তীব্র প্রভাব দেখা যাচ্ছে। শীতের এই ক্ষিপ্ত প্রভাবে ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছে স্থবির। সূর্যের কিরণকে পরাজিত করে সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে পুরো ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা আগের মত ক্যাম্পাসে বের হতে পারছে না। নিয়মিত শ্রেণিকক্ষেও ফিরতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শীতের কাছে হার মেনে অনেকেই অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছে নিজ কক্ষে। সবমিলিয়ে এক নিরানন্দে দিন কাটাচ্ছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি শিক্ষার্থী। এই নিরানন্দকে কাটিয়ে উঠতে তিনদিনব্যাপী ‘কুহেলিকা উৎসব’ এর আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’।

রবিবার (২২জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শীতকে বরণ করে নিতে শুরু হয় এ উৎসব। আগামী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ উৎসব উপভোগ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

কুহেলিকা উৎসব-১৪৩০ নামক এ উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে মৌলিক সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘রঞ্জন’। রঞ্জন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা স্বরচিত গান, কবিতা, নাটক ও রম্য বিতর্ক প্রদর্শন করতে পারবে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন পিঠাপুলি, গ্রাম বাংলার বিখ্যাত নানাবিধ খাবার, চিত্রকলা ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী, প্রসাধনী, শাড়ি, বই কেনার দোকানসহ ৩২টি স্টল বসেছে এ মেলায়। এছাড়াও রয়েছে চিঠিবাক্স। যাতে শিক্ষার্থীরা নাম, বিভাগ ও ঠিকানা সংবলিত চিঠি লিখে প্রিয় জনের উদ্দেশ্য পাঠাবে পারবে।

এমন ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা। তাদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ। আনন্দে-উচ্ছ্বাসের সাথে যে যার মতো সময় পার করছে প্রাঙ্গণে। কেউ কেউ মেলায় ঘুরে ঘুরে বই দেখছে ও পড়ছে। কেউ কেউ প্রিয় জনের পছন্দের শাড়ি ও প্রসাধনী কিনছে। নানা অঞ্চলের পিঠাপুলি খেয়ে উদ্যোক্তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শিক্ষার্থীরাও।

এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন রনি বলেন, এ ধরনের উৎসব প্রতি বছর আমরা দেখতে চাই। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি, নানাবিধ বিখ্যাত পিঠাপুলি, খাবারের সাথে পরিচিত হতে পারবো। সবমিলিয়ে উদ্যোক্তাদের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।

উৎসবের উদ্যোক্তা ইশতিয়াক ইমন বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। মূলত শীতকে বরণ করে নিতে আমাদের এই আয়োজন। এই আয়োজনে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু উৎসবের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি, শিক্ষার্থীরা সবকিছু সুন্দরভাবে উপভোগ করবে।