শীতে যেসব খাবার শরীর ও মন চাঙ্গা করবে

প্রকৃতিতে শীত আসন্ন। প্রকৃতির সাথে সাথে শরীর ও মনেও আসবে পরিবর্তন। মৌসুমের পরিবর্তনে সেই সাথে আমাদের খাবারের তালিকায়ও আসবে রদবদল। শীতের দিনে এমন খাবারগুলো তালিকায় রাখা উচিত যা শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য শীতকালে আপনি বেছে নিতে পারেন এমন কিছু খাবার-

কমলা: আপনি খেয়াল করবেন যে শীতের সময়ে পাওয়া সাইট্রাস ফলগুলো বেশি মিষ্টি এবং রসালো। তাই কমলা খাওয়ার উপযুক্ত সময় শীত। কমলাতে যে ভিটামিন সি রয়েছে তা আপনাকে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। শীতকালে যেহেতু ফ্লু এর পরিমাণ বেশি থাকে সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কমলা।

আদা: আমাদের তরকারি রান্না থেকে শুরু করে চা পর্যন্ত, আদা একটি বহুমুখী উপাদান যা একাধিক উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা ও ফ্লু এর অন্যতম প্রতিকার থাকে আদায়। আদাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গলা ব্যথা প্রশমিত করতে পারে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। শীতকালে প্রায়শ সর্দি, কাশি লেগেই থাকে সেক্ষেত্রে ওষুধ হিসেবে কাজ করে আদা। শীতকালে আপনার ডায়েটেও আদা যোগ করা উচিত।

ব্রকলি: শীতের সময় বাজারে ব্রকলি ছেয়ে যায়। ব্রকলির গুণের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। ভিটামিন মিনারেলের পাওয়ার হাউজ বলা হয় ব্রকলিকে। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি,কে,এ এবং ভিটামিন বি-৯ রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় মিনারেলস যেমন,পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। নিয়মিত ব্রকলি খেলে আপনি সর্বদা সুস্থ থাকবেন এবং যে কোনও ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগার ঝুঁকি থাকবে না। ব্রোকলিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি আমাদের কোষের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দেয় এবং আমাদের অঙ্গগুলো যেনো সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করে।
বিটরুট: শীতকালে হাতের নাগালেই পাওয়া যায় বিটরুট। এর উজ্জ্বল লাল রঙ ও মিষ্টি স্বাদের জন্য বিটরুট পরিচিত। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে যাদুকরী ভূমিকা পালন করে বিটরুট। একইভাবে, যারা নিয়মিত পরিশ্রম করেন তাদের জন্যও নাইট্রেট খাওয়া ভাল, কারণ এটি মাইটোকন্ড্রিয়ার কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আপনাকে আরও শক্তিশালী বোধ করতে পারে।
শুকনো ফল: খেজুর, অ্যাপ্রিকট এবং অন্যান্য শুকনো ফল আপনার শরীরের যন্ত্রসমূহকে গরম ও স্বাভাবিক রাখবে।